এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করলেন উদ্ধব থ্যাকারে। শিবসেনা নেতার সঙ্গে প্রায় দেড় ঘন্টা কথা হয়েছে পাওয়ারের। দুই দলের সম্পর্ক ঘিরে কিছু প্রশ্ন উঠেছে গত এক মাসে। অনুমান, মঙ্গলবারের বৈঠকে লোকসভার আসন বন্টন নিয়ে কথা হয়েছে দু’জনের।
এদিন পাওয়ারের সঙ্গে ছিলেন দলের মহারাষ্ট্র রাজ্য সভাপতি জয়ন্ত পাটিল। আর রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউতকে নিয়ে পাওয়ারের বাসভবনে যান উদ্ধব থ্যাকারে। গত ৩০ আগস্ট এবং ১ সেপ্টেম্বর মুম্বাইয়ে হয়েছে বিজেপি বিরোধী মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’-র বৈঠক।
এনসিপি এবং শিবসেনা, দু’দলকেই ভেঙেছে বিজেপি। ভেঙে বেরনো দুই অংশকে নিয়ে জোট সরকার চালাচ্ছে রাজ্যে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মহারাষ্ট্রে মারাঠা সংরক্ষণ আন্দোলন নিয়েও কথা হয়েছে দু’পক্ষে। ২০২১’এ সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধঅনিক বেঞ্চ মারাঠাদের জন্য আলাদা সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত খারিজ করে। মারাঠা সংরক্ষণের বিরোধী রাজ্যের অনগ্রসর অংশের মধ্যে থাকা বিভিন্ন জনগোষ্ঠী। সেক্ষেত্রে ‘ওবিসি’ সংরক্ষণে দাবিদার বেড়ে যাবে।
শিবসেনা ভেঙেছিল আগেই। পরে শারদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ার দল ভেঙে বিজেপি’তে যোগ দেন। তারপরও অজিতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কাকা শারদ পাওয়ার। তাঁর ভূমিকা নিয়ে সংশয়ও তৈরি হয়। সে সময় শিবসেনা শারদ পাওয়অরকে অবস্থান স্পষ্ট করতে বলেছিল।
মঙ্গলবারই আবার মারাঠা সংরক্ষণ আন্দোলনের নেতা মনোজ জারাঙ্গে পাটিল অনশন প্রত্যাহার করেছেন। তবে আন্দোলন তুলে নেওয়া হচ্ছে না, জানিয়েছেন তিনি। মুম্বাই থেকে প্রায় চারশো কিলোমিটার দূরে জালনা জেলার অন্তরওয়ালি সরাতি গ্রামে ২৯ আগস্ট থেকে অনশনে বসেছিলেন জারাঙ্গে। তবে তাঁর শর্ত এক মাসের মধ্যে রাজ্য সরকার নিযুক্ত কমিটিকে সংরক্ষণের প্রস্তাব চূড়ান্ত করে রিপোর্ট দিতে হবে। সরকারি চাকরি ও শিক্ষায় অন্য অনগ্রসর অংশের আওতায় আনতে হবে মারাঠাদের। তাঁদের কুনবি গোষ্ঠীভুক্ত স্বীকৃতি দিয়ে সার্টিফিকেট দিতে হবে।
পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন পাওয়ার এবং উদ্ধব থ্যাকারে।
Comments :0