জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলছে। ধ্বংস হচ্ছে বনভূমি। বনের প্রাণীদের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হচ্ছে। লোকালয়ে বারবার বন্যপ্রাণী ঢুকে পড়ছে।
খুব বেশি দিন আগে ঘটনা নয়। জলপাইগুড়িতে বিন্নাগুড়ি সেনা হাসপাতালে হাতি ঢুকে পড়ে। এর পরজলপাইগুড়ি শহরেও চলে আসে হাতির পাল। অতি সম্প্রতি তিস্তা নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় চিতা বাঘের আনাগোনাও দেখা যায়। আতঙ্কে গ্রামবাসীরা চাষ বাস বন্ধ করে দেন। গ্রামবাসীরাই জানিয়েছেন, জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কারণে জেলায় প্রচুর বনভূমি ধ্বংস হয়েছে। বনাঞ্চলে উপদ্রবের কারণ হয়েছে হোটেল, রিসর্টও।
জেলার পরিবেশপ্রেমীরা জানাচ্ছেন, সড়ক নির্মাণ ছাড়াও ঢালাও হোটেল, রিসর্ট নির্মাণও চলছে। বন্যপ্রাণীরা স্বাভাবিক জীবনে থাকতে পারছে না। অরণ্যের মধ্যে এই হোটেলগুলোতে রাত্রেও প্রচুর আলো জ্বলতে থাকে। উঁচু স্বরে গান বাজনা হয়। বন্য প্রাণীদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বাধা পায়। এলাকাবাসী এবং পরিবেশপ্রমীদের ক্ষোভ, রাজ্য সরকারের নজরদারি নেই। স্থানীয় মানুষ পড়ছেন সমস্যায়।
প্রতি বছর ঘটা করে অরণ্য সপ্তাহ, বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হচ্ছে, কিন্তু পরিবেশ বিষয়ক সচেতনতা আজও তলানিতেই রয়েছে। পরিবেশপ্রেমীদের ক্ষোভ, বাণিজ্যের কাছে সরকার আত্মসমর্পণ করেছে। আজ উপলব্ধির সময় এসেছে নিজেদের প্রমোদ, ফূর্তির জন্য পরিবেশের ওপর যথেচ্ছ অত্যাচার বন্ধ করার। এখন সময় পরিবেশকে বাঁচানোর-পরিবেশকে রক্ষা করার।
স্থানীয় মানুষের দাবি, সরকারের বন দফতর, বনমন্ত্রী, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বা পরিবেশ দপ্তরকে নীরবতা ভাঙতে হবে। পরিবেশ মন্ত্রী অস্তিত্ব জানান দিন। গ্রিন ট্রাইব্যুনাল ব্যবস্থা নিক।
Comments :0