৩০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে ব্লক অফিসে ডেপুটেশন দিতে যান নন্দকুমার ব্লকের সিপিআই(এম) কর্মীরা। সেখানে তাঁদের উপর ব্যাপক হামলা চালায় নন্দকুমার থানার পুলিশ। বিডিও অফিসের সামনে থেকে এবং স্থানীয় সিপিআই(এম) অফিসে ঢুকে ১৮জন সিপিআই(এম) কর্মী সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়। বিডিও অফিসের সামনে কার্যত বিবস্ত্র করে মারধর করা হয় আরজুনা বিবি নামে এক আন্দোলনকারীকে। আরজুনা বিবির উপর পুরুষ পুলিশকর্মীদেরও ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা যায়। রাতে নিরঞ্জন সিহি, পরিতোষ পট্টনায়েক সহ ৮ পার্টি কর্মীকে মুক্তি দিলেও আরজুনা বিবি সহ ১০ বাম কর্মীর বিরুদ্ধে ৩০৭, ৩৩৩’র মতো গুরুতর ধারায় মামলা রুজু করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ।
৩১ ডিসেম্বর ধৃত সিপিআই(এম) কর্মী সমর্থকদের তমলুক জেলা আদালতে পেশ করা হলে তাঁদের ৩দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। সেই মতো মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ আরজুনা বিবি, শেখ আখতার আলি, রফিকুল ইসলাম, নিতাই জানা, গোপাল সামন্ত, কৃষ্ণেন্দু বর্মণ, সেখ সাহাজাহান আলি, জন্মেজয় রাণা, সেখ সাত্তার, আশীষ গুছাইত সহ ১০ সিপিআই(এম) কর্মীকে আদালতে হাজির করায় পুলিশ। দীর্ঘ সওয়াল জবাব শেষে বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ বিচারক তাঁদের জামিনে মুক্তির নির্দেশ দেন। অভিযোগ, জেলা পুলিশের তরফে তাঁদের মুক্তি নিয়ে টালবাহানা শুরু হয়। অবশেষে সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ মুক্তি পান ১০জন।
Comments :0