NANDAKUMAR FELICITATION

জেল থেকে বেরোতেই অভ্যর্থনা জনতার

রাজ্য জেলা

CPIM TMC BJP PM AWAS YOJNA  NANDAKUMAR

বীরের মর্যাদায় সহযোদ্ধাদের বরণ করল নন্দকুমার। মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ১০ বামকর্মীকে মঙ্গলবার জামিনের নির্দেশ দেয় তমলুক জেলা আদালত। সেই মোতাবেক মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তমলুক জেলা সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পান ১০ সিপিআই(এম) কর্মী সমর্থক। তাঁদের পুষ্পস্তবক এবং মালা পরিয়ে বরণ করে নেন সুজন চক্রবর্তী, অনাদি সাহু, নিরঞ্জন সিহি সহ সিপিআই(এম)’র শীর্ষ নেতৃত্ব। ১০ সিপিআই(এম) কর্মী জেলের ফাটক পেরিয়ে বেরোতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে উপস্থিত জনতা। দীর্ঘক্ষণ চলে স্লোগান। মিথ্যা মামলায় কারাবন্দী থাকা সিপিআই(এম) কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়ে সংক্ষপ্ত মিছিলও হয়। 

৩০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে ব্লক অফিসে ডেপুটেশন দিতে যান নন্দকুমার ব্লকের সিপিআই(এম) কর্মীরা। সেখানে তাঁদের উপর ব্যাপক হামলা চালায় নন্দকুমার থানার পুলিশ। বিডিও অফিসের সামনে থেকে এবং স্থানীয় সিপিআই(এম) অফিসে ঢুকে ১৮জন সিপিআই(এম) কর্মী সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়। বিডিও অফিসের সামনে কার্যত বিবস্ত্র করে মারধর করা হয় আরজুনা বিবি নামে এক আন্দোলনকারীকে। আরজুনা বিবির উপর পুরুষ পুলিশকর্মীদেরও ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা যায়।  রাতে নিরঞ্জন সিহি, পরিতোষ পট্টনায়েক সহ ৮ পার্টি কর্মীকে মুক্তি দিলেও আরজুনা বিবি সহ ১০ বাম কর্মীর বিরুদ্ধে ৩০৭, ৩৩৩’র মতো গুরুতর ধারায় মামলা রুজু করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ।

৩১ ডিসেম্বর ধৃত সিপিআই(এম) কর্মী সমর্থকদের তমলুক জেলা আদালতে পেশ করা হলে তাঁদের ৩দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। সেই মতো মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ আরজুনা বিবিশেখ আখতার আলিরফিকুল ইসলামনিতাই জানাগোপাল সামন্তকৃষ্ণেন্দু বর্মণসেখ সাহাজাহান আলিজন্মেজয় রাণাসেখ সাত্তারআশীষ গুছাইত  সহ ১০ সিপিআই(এম) কর্মীকে আদালতে হাজির করায় পুলিশ। দীর্ঘ সওয়াল জবাব শেষে বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ বিচারক তাঁদের জামিনে মুক্তির নির্দেশ দেন। অভিযোগ, জেলা পুলিশের তরফে তাঁদের মুক্তি নিয়ে টালবাহানা শুরু হয়। অবশেষে সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ মুক্তি পান ১০জন। 

 

 

 

Comments :0

Login to leave a comment