Bangladesh

দুই দেশের টানাপোড়েনে বড় অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখিন বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক

মীর আফরোজ জামান : ঢাকা

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক অর্থনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে দেখা দিয়েছে সামগ্রিক সম্পর্কের টানাপোড়েন। গত আগস্টে  ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর  মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। এতে দু দেশের  দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। ফলে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখিন হবে বাংলাদেশ । এমনটিই মন্তব্য করলেন, যুক্তরাজ্যে বসবাসরত অর্থনীতিবীদ আরিফ খান। যদিও সরকারি ভাবে সিদ্ধান্তটি এখনও কার্যকর না হলেও শুধুমাত্র কলকাতা এবং নহাভা শেভা সমুদ্রবন্দর দিয়ে ভারতে বাংলাদেশি তৈরি পোশাক রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। 
অধ্যাপক আরিফ খান জানান, দুই পক্ষের মধ্যে টানাপোড়েনের পটভূমিতে ভারতীয় বিমানবন্দর এবং বন্দর দিয়ে তৃতীয় দেশে বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্য পরিবহনের জন্য প্রায় পাঁচ বছরের পুরনো ব্যবস্থা নয়াদিল্লি শেষ করার এক মাসেরও বেশি সময় পরে ভারতীয় পক্ষের এই পদক্ষেপ এসেছে। 
ভারতের বিদেশী বাণিজ্য অধিদপ্তরের জারি করা একটি আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ঘোষিত বিধি নিষেধের আওতায় বাংলাদেশে তৈরি পোশাক (আরএমজি) কেবল কলকাতা এবং নহাভা শেভা সমুদ্রবন্দর দিয়ে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে। অধ্যাপক আরিফ বলেন, এর উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে । কারণ, ভারতে বাংলাদেশের বার্ষিক তৈরি পোশাক রপ্তানির পরিমাণ প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলার এবং এই পণ্যের ৯৩% স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি করা হয়। যদিও নিষেধাজ্ঞাগুলি ভারত হয়ে ভুটান এবং নেপালে পরিবহন করা বাংলাদেশী পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। 
জানা গিয়েছে, তৈরি পোশাক, প্লাস্টিক এবং পিভিসি তৈরি পণ্য, কাঠের আসবাবপত্র, ফলের স্বাদযুক্ত এবং কার্বনেটেড পানীয়, বেকারি এবং মিষ্টান্নজাতীয় পণ্য, তুলা এবং সুতির বর্জ্য সমুহ মেঘালয়, আসাম, ত্রিপুরা এবং মিজোরামের ১১টি স্থল শুল্ক স্টেশন এবং চেকপোস্ট এবং পশ্চিমবঙ্গের ফুলবাড়ি এবং চ্যাংড়াবান্ধা পোস্ট দিয়ে বাংলাদেশী বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য এবং অন্যান্য পণ্য রপ্তানি করতে পারবে না । 
একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২৪ অর্থবছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১২.৯০ বিলিয়ন ডলার এবং বাংলাদেশ ছিল উপমহাদেশে ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। ভারত ছিল বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি অংশীদার, যা মোট রপ্তানির ১২%। ২০২৪ অর্থ বর্ষে বাংলাদেশে ভারতের রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১১.০৬ বিলিয়ন ডলার এবং একই সময়ে বাংলাদেশ থেকে আমদানির পরিমাণ ছিল ১.৮ বিলিয়ন ডলার।

Comments :0

Login to leave a comment