Panskura Student Suicide

মিথ্যা বলেনি পাঁশকুড়ার ছাত্রটি, ফুটেজে উঠে এল সত্যিটা

রাজ্য জেলা

মনে কষ্ট পেয়ে, অপমানে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে পাঁশকুড়ার সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া কৃষ্ণেন্দু। চিপসের প্যাকেট চুরির অপবাদে পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় উত্তপ্ত পাঁশকুড়া। সত্যি সে চুরি করেনি, সামনে এল সিসিটিভি ফুটেজ। 
'আমি চুরি করিনি মা।’ খাতায় মাকে উদ্দেশ্য করে লিখেছিল সপ্তম শ্রেণির ছাত্র কৃষ্ণেন্দু দাস। প্রকাশ্যে এল দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ। নাবালক ছাত্রটি যে মিথ্যা কথা বলেনি, তা দেখা গেল সিসিটিভি-তে। দোকানের সামনে পড়েছিল চিপসের প্যাকেটটি। সেটাই কুড়িয়ে নিয়েছিল ওই নাবালক ছাত্র। ভিডিও তে তাই দেখা গেল। চুরির অপবাদ মেনে নিতে না পেরে নাবালক ছাত্র আত্মহত্যা করেছে। ঘটনায় স্তম্ভিত সমাজকর্মী, মনোবিদ থেকে বিশিষ্টরা। এদিকে ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় পাঁশকুড়ার গোঁসাইবেড় গ্রামে। তমলুক হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ গ্রামে পৌঁছানোর পরেই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়ায়। অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের দোকান বাড়ি ভাঙচুর চালায় স্থানীয়রা। পাঁশকুড়া থানার পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভ হঠিয়ে দেয়। কিন্তু মর্মান্তিক এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসতেই পাঁশকুড়া জুড়ে আবার ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ছাত্রটি যে সত্য বলেছিল, সেটাই ধরা পড়েছে দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে। ভিডিও তে দেখা যাচ্ছে, সাইকেল নিয়ে দোকানে যায় কৃষ্ণেন্দু দাস নামে ওই ছাত্র। দোকানে গিয়ে দোকানদারের খোঁজ করে। কাউকে দেখতে না পেয়ে ভিতরে ঢুকে খোঁজ করার পর বেরিয়ে আসে ছাত্রটি। ফিরে যাওয়ার সময় দোকানের সামনে পড়ে থাকা চিপসের প্যাকেটটি তুলে নিয়ে চলে যায় সে। এরপরের আর একটি ফুটেজে দেখা যায়, ওই দোকানেই কৃষ্ণেন্দুকে নিয়ে আসে তার মা। তিনি সেখানে সন্তানকে শাসন করেন। কিন্তু দোকানের বাইরে রাস্তায় কি ঘটেছিল তার কোনও ভিডিও বা ছবি দেখা যায়নি। কৃষ্ণেন্দু দাসের মৃত্যুর পর থেকে পলাতক রয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার শুভঙ্কর দীক্ষিত। সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়ির লোকের দাবি তারা নির্দোষ। তাদের উপর প্রাণঘাতী হামলা হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকে থমথমে পাঁশকুড়ার গোঁসাইবেড় গ্রাম।

Comments :0

Login to leave a comment