মহিলা সংরক্ষণ বিলের প্রতি সমর্থন জানিয়ে পিছিয়ে পড়া জনজাতির অংশের মহিলাদের জন্য সংরক্ষণের দাবি জানালেন কংগ্রেস সাংসদ সোনিয়া গান্ধী। বুধবার কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মহিলা সংরক্ষণ বিলের ওপর আলোচনায় অংশ নেন সোনিয়া গান্ধী। তিনি আলোচনার সময় বলেন, তার দল এই বিলকে সমর্থন জানাচ্ছে। তার সাথে তিনি দাবি করেন সমাজে পিছিয়ে পড়া অংশের মহিলাদের জন্য বিশেষ সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখতে হবে। কংগ্রেস সাংসদের বক্তব্যে উঠে আসে রাজীব গান্ধীর প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী আঞ্চলিক প্রশাসনিক স্তরে মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষণের বিল এনেছিলেন।
দেশে জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচনে মহিলা সংরক্ষণ চালু করেছিল পশ্চিমবঙ্গের পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকার। ১৯৮৩’তে পঞ্চায়েতে ৩৩ শতাংশ বা এক তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষণ চালু হয় এ রাজ্যে।
কংগ্রেসের দাবি ৩৩ শতাংশের বাইরে তফশিলি জাতি এবং উপজাতি, ওবিসি মহিলাদের জন্য আলাদা সংরক্ষণ রাখতে হবে। সোনিয়া গান্ধী এদিন জাতি ভিত্তিক জনগননার দাবি করেন, তিনি বলেন, ‘‘অবিলম্বে জাতি ভিত্তিক জনগননা করতে হবে। সেই জনগননার ভিত্তিতে তফশিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি সম্প্রদায়ের মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষন করতে হবে। এই কাজে যদি বিলম্ব করা হয় তবে তা নারী জাতির প্রতি অপমান হবে।’’
সোনিয়া গান্ধীর বক্তব্যের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে বলতে উঠে বলেন, ‘‘তফশিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি সম্প্রদায়ের মহিলাদের জন্য সংরক্ষণের কথা এই বিলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বিল পেশ করায় কংগ্রেস হতাশ।’’
এবারের বিলে সংরক্ষণের মধ্যে সংরক্ষণের সংস্থান রয়েছে। মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসনের মধ্যে ৩৩ শতাংশ তফসিলি জাতি এবং আদিবাসীদের জন্য রাখার সংস্থান হয়েছে। কিন্তু কংগ্রেসের দাবি আলাদা করে এই ৩৩ শতাংশের বাইরে তফশিলি জাতি এবং আদিবাসীদের জন্য আসন সংরক্ষণ করার।
Comments :0