সিপিআই(এম) কর্মী এবং নেতৃবৃন্দ গত সাড়ে চার বছর ধরে জোর করে বন্ধ করে দেওয়া সিপাহিজালা জেলার চড়িলামে স্থানীয় সিপিআই(এম) কমিটির কার্যালয় পুনরায় খুলতে গেলে বিজেপির গুন্ডাদের ভয়াবহ আক্রমণের শিকার হন।
বিজেপির গুন্ডাদের এই নির্লজ্জ আক্রমণে শুধু শহীদ মিঞাই নিহত হননি, বর্তমান বিধায়ক এবং প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী, প্রবীণ নেতা ভানু লাল সাহা সহ আরও অনেকে গুরুতর আহত হন। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই ধরণের বর্বরোচিত আক্রমণই ত্রিপুরার বর্তমান পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরে। সিপিআই(এম) এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলিকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে, তাদের অফিস চালানো বা স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে দেওয়া হয় না। বিধানসভা নির্বাচনের মাত্র দুই মাস বাকি, তারপরেও শাসক দল প্রশাসন ও পুলিশের যোগসাজশে রাজনৈতিক বিরোধীদের লাগাতার আতঙ্কিত করে চলেছে।
সিপিআই(এম) এর পলিট ব্যুরো দাবি করে যে পুলিশ এই হত্যা ও হিংস্র আক্রমণের জন্য অভিযুক্তদের ধরতে এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে। ত্রিপুরায় গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক অধিকার পুরোপুরি পুনরুদ্ধার করতে হলে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে।
Comments :0