SALIM ON SIR

এসআইআর প্রক্রিয়ায় মানুষের পাশে থাকবে সিপিআই(এম), নভেম্বরে বাংলা বাঁচাও যাত্রা : সেলিম

রাজ্য

‘সিপিআই(এম) এর সব দপ্তর থেকে পাওয়া যাবে ২০০২ এর ভোটার তালিকা। মানুষকে সব রকম সহায়তা করা হবে। এসআইআর নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। সিপিআই(এম) কর্মীরা মানুষের পাশে আছে।’ সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে বললেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, এসআইআরের নাম করে মানুষকে ভয় দেখানো হচ্ছে। রাজ্য জুড়ে সিপিআই(এম) ভোটার সহায়তা কেন্দ্র করবে।
সেলিম বলেন, প্রতিটা নির্বাচনের আগে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মানুষকে ভয় দেখানো হয়। এসআইআর সেই রকম এক প্রক্রিয়া। আমাদের দায়িত্ব সমাজ তৈরি করা। 
সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক জানিয়েছেন সংকট মুক্ত বাংলা গড়ার শপথ নিয়ে নভেম্বর মাসের শেষ থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ পর্যন্ত বাংলা বাঁচাও যাত্রা করবে সিপিআই(এম)। সেলিম বলেন, মূল যাত্রার পাশাপাশি প্রতিটা বুথে উপ যাত্রা হবে। 
সোমবার পশ্চিমবঙ্গ সহ ১২টি রাজ্যে এসআইআর ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক বলেন, ‘এসআইআরের মাধ্যমে কী করতে চাইছে কমিশন তা স্পষ্ট করতে হবে। কিসের ভিত্তিতে রাজ্য গুলোকে বাছা হয়েছে তা স্পষ্ট করতে হবে।’ উল্লেখ্য আসামে এসআইআর হবে না বলে জানিয়েছে কমিশন, সেলিম বলেন, ‘কেন আসামকে বাদ দেওয়া হলো? অনুপ্রবেশ নিয়ে আসাম বার বার উত্তপ্ত হয়েছে।’
সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের দাবি নির্ভুল ভোটার তালিকা। অনেক লড়াইয়ের ফল এই সার্বজনীন ভোটাধিকার। কোন ভাবে মানুষের ভোটাধিকারকে সঙ্কুচিত করা যাবে না। কিন্তু আমারা দেখছি কখনও কমিশনকে ব্যবহার করে, কখনও গুন্ডা ব্যবহার করে ভোটাধিকারের ওপর আক্রমণ নামিয়ে আনা হচ্ছে। গরীব মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।’ তিনি বলেন, রাজ্য জুড়ে সিপিআই(এম)’র যারা বিএলএ রয়েছেন তারা সতর্ক থাকবে যাতে কোন ভাবে বৈধ ভোটারের নাম বাদ না যায় তালিকা থেকে। 
আগামী ২৯ অক্টোবর রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দপ্তরের সামনে সিপিআই(এম) সহ বামপন্থী দলগুলোর ডাকে বিক্ষোভ সভার অনুষ্টিত হবে বলে জানিয়েছেন সেলিম। সেদিন দাবি সনদও কমিশনের কাছে পেশ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। 


সেলিম বলেন, বিজেপি এবং তৃণমূল দুজনেই চাব যাতে মৃত এবং ভুয়ো ভোটারদের নাম তালিকায় থাকে। এই নাম থাকলে তাদের সুবিধা হবে ভোট লুঠ করতে। 
উল্লেখ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে ২০০২ এর ভোটার তালিকার ভিত্তিতে এসআইআর হবে এরাজ্যে। সেলিম বলেন, ‘২০০২ সালে ইআর হওয়ার পর ২০০৪ সালে লোকসভা নির্বাচন হয়। ইউপিএ ১ সরকারের আমলে মমতা এবং বাজপেয়ী ভোটার তালিকা নিয়ে সংসদে সরব হয়। দুজন আলাদা আলাদা দিনে ভোটার তালিকা নিয়ে আলোচনার দাবিতে সরব হয়। তখনই মমতা কাগজ ছুঁড়েছিল স্পিকারের উদ্দেশ্যে। বলে রাখা দরকার সেই সময় যেই তালিকা নিয়ে মমতা এবং বিজেপি প্রশ্ন তুলেছিল আজ সেই তালিকা ধরেই এসআইআরের কাজ হবে বলে কমিশন জানিয়েছে।’
সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক বলেন, ‘যত নির্বাচন এগিয়ে আসবে ততো তৃণমূল এবং বিজেপি বিভাজনের রাজনীতি করবে। আরএসএসের সাম্প্রদায়িক রাজনীতির মোকাবিলা মতাদর্শগত ভাবে করবে সিপিআই(এম) কর্মীরা।’ তিনদিনের রাজ্য কমিটির বৈঠকে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক। 
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে ১০০ দিনের কাজ চালু করার। এই প্রসঙ্গে সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক বলেন, ‘১ আগস্ট থেকে ১০০ দিনের কাজ চালু করার কথা বলেছিল হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেজ্ঞ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্য জুড়ে ১০০ দিনের কাজের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছে বামপন্থী গণসংগঠন গুলো। জেলায় জেলায় হয়েছে বিক্ষোভ। এদিন সুপ্রিম কোর্ট যেই রায় দিয়েছে তাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার উভয়কেই এই কাজ চালু করতে হবে। যাদের টাকা বাকি আছে এবং যারা আবেদন করেছেন তাদের তা দিতে হবে।’

Comments :0

Login to leave a comment