Delhi Pollution

কিছুটা উন্নতি করলেও দিল্লি দূষণ বিপদ কাটেনি এখনও

জাতীয়

কিছুটা উন্নতি করলেও দিল্লির বাতাসের গুনগত মান এখনও খারাপ। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুক্রবার দিল্লির বাতাসের গুণগত মান ২৯২। যা খারাপ। চলতি সপ্তাহের শুরুতে দিল্লির একিউআই ছিল ৪১২।
দূষণের কারণে দিল্লির বাতাসের গুণগত মান ক্রমশ ভয়ঙ্কর চেহারা নিতে থাকে। ৫০০ ঘরের পৌঁছে যায় একিউআই। দিল্লির অনেক এলাকায় বায়ু মানের সূচক (একিউআই) ৫০০-র কাছাকাছি রেকর্ড করা হয়, যা বিপজ্জনক বায়ু বিভাগের মধ্যে পড়ে। দূষণ কমাতে ‘গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান’ (গ্রেপ) তিন কার্যকর করা হয়েছিল। ‘গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান’ (গ্রেপ) চার কার্যকর করা বিধিনিষেধ কার্যকর করা হয়।
দিল্লির বায়ুর মান মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ায়, শিক্ষা অধিদপ্তর স্কুলগুলিকে ক্ষতিকারক দূষণ থেকে শিশুদের রক্ষা করতে এবং পড়াশোনা নিশ্চিত অব্যাহত রাখতে প্রথম থেকে নবম এবং একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য হাইব্রিড ক্লাস শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে। এই নির্দেশিকাটি ডিওই, এনডিএমসি, এমসিডি এবং দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের আওতাধীন সরকারি, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত এবং অনুদানবিহীন স্বীকৃত বেসরকারি স্কুলগুলির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। 
গত কয়েক বছরের মতোই এবারের শীতেও দিল্লি বিষাক্ত বাতাসে কার্যত দম বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। অধিকাংশ দিনই দূষণের মাত্রা তিনশো, চারশোর উপরে থাকছে। ফলে শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে শ্বাসকষ্ট, বুক ধরা ভাব এবং দীর্ঘস্থায়ী সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। চিকিৎসকদের মতে, প্রতি বছর দূষণের মাত্রা বাড়ছে এবং বিষাক্ত বাতাসের কারণে অসুস্থের সংখ্যাও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তরুণ, তরুণীরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। রাজধানীর বহু চিকিৎসক জানিয়েছেন, গত কয়েক সপ্তাহে হাসপাতালগুলির ওপিডি এবং আপৎকালীন বিভাগে বেশিরভাগ রোগীরই শ্বাসকষ্টের সমস্যা। প্রত্যেকের অবস্থাই মারাত্মক। সাধারণ চিকিৎসায় কমছে না। বেশি মাত্রার স্টেরয়েড দিতে হচ্ছে। আর আগে শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল না, এমন রোগীর সংখ্যাই বেশি। যাঁরা খেলাধুলো করেন, নিয়মিত শরীর চর্চা করেন, তাঁরাও প্রবল শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। হৃদযন্ত্রের উপরও চাপ পড়ছে।

তথ্য অনুযায়ী, দিল্লির প্রায় সমস্ত এলাকায় একিউআই ৪০০ ছাড়িয়ে যায়। রোহিণীতে সর্বোচ্চ একিউআই ৪৯৯ রেকর্ড করা হয়।

Comments :0

Login to leave a comment