এক যুগ পর সুপার কাপ জিতেই ট্রফির খরা কেটেছিল ইস্টবেঙ্গলের। তারপর কেটে গিয়েছে দেড় বছর। 
লাল হলুদকে ট্রফি জেতানো কার্লেস কুয়াদ্রাতের জায়গায় এখন দায়িত্বে অস্কার ব্রুজো। তাঁর প্রশিক্ষণে এবার জোড়া খেতাবের কাছে পৌঁছেও ট্রফির স্পর্শ পায়নি ইস্টবেঙ্গল। তবে একবার হারানো গিয়েছে শক্তিশালী মোহনবাগানকে। শিল্ড ফাইনালে বাগানের কাছে হারলেও, ফের সবুজ মেরুনের মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল। ড্র করলেই টিকিট মিলবে শেষ চারের। কিন্তু ড্র নয়, জিতেই সেমিফাইনালে উঠতে চায় ইস্টবেঙ্গল। 
একদিনের প্রস্তুতিতে ডার্বি ম্যাচে নামবে লাল হলুদ। বুধবার দলকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন অস্কার। বৃহস্পতিবার দলকে হালকা অনুশীলন করালেন, ফিল-গুড পরিবেশে। ফিটনেসে জোর দেওয়ার পাশাপাশি সেটপিসে জোর দিতে দেখা গেল অস্কারকে। যদিও কেমন দল তিনি নামাবেন, খোলসা না করলেও অস্কার বলছেন, ‘আমাদের দলে ভারসাম্য রয়েছে। আমরা রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলব না। খেলায় যাতে ভারসাম্য বজায় থাকে, তারই চেষ্টা থাকবে। মোহনবাগানের ভারতীয় ফুটবলাররা খুবই ভালো। ওদের আটকাতে আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া বাড়াতে হবে।’ শেষ চারের টিকিট নিশ্চিত করতে দল অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা বেশি। ইস্টবেঙ্গলের সামনে অঙ্ক যতই সহজ হোক না কেন! পরীক্ষা- নিরীক্ষায় যেতে নারাজ অস্কার। 
পাঁচ বিদেশির সঙ্গে ছয় ভারতীয় ফুটবলারের কম্বিনেশনে দল নামাবেন তিনি। গোলে গিল, রক্ষণে কেভিনের পাশে আনোয়ার। দুই সাইড ব্যাক রাকিপ, জয়। মাঝমাঠে সাউল, রশিদ ও মিগুয়েল। দুই উইংয়ে বিপিন এবং মহেশ। সামনে হামিদ। এবারের ইস্টবেঙ্গলে ভালো ফুটবলারদের উপস্থিতিতে ভালো খেলছে দলটা, বিদেশিরাও দক্ষ। হিরোশির ফিটনেস নিয়ে সমস্যা থাকলেও তিনি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন। গত ম্যাচেই তিনি গোল পেয়েছেন। মাঝমাঠে মিগুয়েল, রশিদ এবং ক্রেসপো উপস্থিতিতে রক্ষণে খুব চাপ পড়ছে না, খেলাও ছড়াচ্ছে। উইংয়ে বিপিন ধারাবাহিক, মহেশ স্বপ্নের ফর্মে, সুপার কাপে দুটি ম্যাচে গোল না পেলেও, শেষ ডার্বিতে গোল পেয়েছেন হামিদ। সাউলের কথায়, ‘এটা অন্য খেলা। আমরা তৈরি। আত্মবিশ্বাসী। বৃষ্টি হলে আলাদা ম্যাচ। মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট সেরা ম্যাচ খেলেছে এখন। তবুও আমরা তৈরি। ড্র করলেই শেষচারে যাওয়া যাবে জানি। তবে সেই ভাবনা সাজঘরে নেই। দল শুধুমাত্র  জেতার কথা ভাবছে।’ তাঁর মুখে শোনা গেল মিগুয়েলের প্রশংসা। বললেন, ‘মিগুয়েলের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা দারুণ। আমরা জুটিতে ভালো খেলছি।’
বড় ম্যাচে নামার আগে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে অস্কার বললেন, ‘দল ভালো খেলেছে। ডেম্পোর বিরুদ্ধে দুই বড় দলের ড্রয়ে আমি সমীর নায়েকের কৃতিত্ব ছোট করছি না। এবার সামনে মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট। দেশের অন্যতম সেরা দল। গত একবছরে আমরা দুই দলের ব্যবধানে কমাচ্ছি।’ আরও যোগ করলেন, ‘পরপর ম্যাচ খেলতে হচ্ছে। এটা সমস্যা। মোহনবাগানের ক্ষেত্রেও একই সমস্যা রয়েছে। পরিস্থিতি দুই দলের ক্ষেত্রেই এক। একটাই সুবিধা ওদের জন্য, এই মাঠে খেলেছে।’ চলতি মরশুমে একবার মোহনবাগানকে হারালেও, সমীহ করছেন মোলিনার দলকে। অস্কারের সংযোজন, ‘মোহনবাগান খুব ভালো দল। ম্যাচটা জেতার জন্য ওরা মরিয়া হয়ে ঝাঁপাবে। শুরুতে গোল খেতে চাইবে না। দ্বিতীয়ার্ধে একটা কিছু ছোট বদল বদলে দেবে। ওদের ভারতীয় ফুটবলররা ভালো খেলছে। তাই প্রতিপক্ষকে রুখতে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া রাখাটা জরুরি। ৭০-৯০ মিনিটে ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ হয়ে যেতে পারে।’
মাঠ নিয়ে এবার অভিযোগ শোনা গেল অস্কারের মুখে। তিনি বললেন, ‘ছোট, গর্ত আছে। ব্যাম্বলিমের মাঠ ভালো ছিল। এখানে ঘাস ভালো হলেও মাঠ ভালো নয়। তবে আমি অজুহাত দিতে চাই না।’
 
Super Cup 2025
জিতেই শেষ চারের টিকিট চায় ইস্টবেঙ্গল দল অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা প্রবল
 
                                    
                                
                                    ×
                                    ![]() 
                                
                                                         
                                         
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                    
Comments :0