• (Economic Survey Report) জিডিপি (GDP) হ্রাসের ইঙ্গিত। অর্থনৈতিক সমীক্ষায় চলতি অর্থবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশে পৌঁছানোর অনুমান। আগামী অর্থবর্ষে (২০২৩-২৪) অনুমান, কমে সেই হার দাঁড়াবে ৬ থেকে ৬.৮ শতাংশে।
গতবার অর্থনৈতিক সমীক্ষার অনুমান মেলেনি। বলা হয়েছিল, চলতি অর্থবর্ষ (২০২২-২৩)’এ জিডিপি বৃদ্ধির হার হবে ৮ থেকে ৮.৫ শতাংশ। এখন কমিয়ে বলা হচ্ছে, তা হবে ৭ শতাংশ।
• সমীক্ষার অনুমান, বিশ্ববাজারের কারণে রপ্তানিতে তেমন উন্নতি হবে না। বরং রপ্তানিতে থেকে আয় কমতে পারে।
• কৃষিতে বেসরকারি বিনিয়োগের পক্ষে কড়া সওয়াল। সরকারি বিনিয়োগ না বাড়িয়ে এই পথে সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব কৃষকরা।
• সমীক্ষা বলছে, বিশ্বের উন্নত দেশগুলিতে আর্থিক মন্দার আশঙ্কা থাকায় এখন ভারতের দিকে ঝুঁকছে বিনিয়োগকারীরা (Investors) । সেই ভরসাতেই চীনের থেকে উৎপাদন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ টানার আশা দেখাচ্ছে সমীক্ষা।
• বাজারে দামের সঙ্কট মানতে নারাজ সমীক্ষা। বলা হয়েছে, আগের বছরের তুলনায় এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে মূল্যবৃদ্ধি। সব মিলিয়ে ৬ শতাংশের মধ্যে রয়েছে মূল্যবৃদ্ধির হার। পাইকারি এবং খুচরো বাজার, দু’ক্ষেত্রেই মূল্যবৃদ্ধির হার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সহনমাত্রার ভেতর। দাবি, সে কারণে বিনিয়োগের অন্যতম গন্তব্যে পরিণত হয়েছে ভারত।
• কেন্দ্রের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরন (Chief Economic Advisor V Anantha Nageswaran ) নেতৃত্বে তৈরি রিপোর্টে সুপারিশ, করের হার কম রেখে বিনিয়োগে সহায়তা করা। আয়ের অবস্থা বুঝে ব্যয় করা, পরিভাষায় ‘ফিসক্যাল প্রুডেন্স’ দেখানো। স্টার্ট-আপ বা নতুন সংস্থা খোলার জন্য সুবিধাজনক কর ব্যবস্থার ইঙ্গিত।
• মোট ভর্তির অনুপাত কোভিডের আগের স্তরে পৌঁছেছে, দাবি সমীক্ষার। স্কুল ছুটের সংখ্যা কমেছে, গত বছরের তুলনায় স্কুলে ভর্তির হারও বেড়েছে। ছেলে-মেয়ে উভয় ক্ষেত্রেই স্কুলে ভর্তি হার বেড়েছে।
• আর্থিক মন্দার কারণে বিশ্বের বড় বড় প্রযুক্তি (Technology) সংস্থাগুলো বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাঁটাইয়ের (Lay-off) পথে হেঁটেছে। সেই তুলনায় আপাতত ভাল জায়গায় রয়েছে ভারত। এই একই কারণে বিদেশি সংস্থাগুলো দেশে ভারতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে বলে দাবি সমীক্ষার।
Comments :0