ভাঙড়ে তৃণমূলের হামলার তীব্র নিন্দা করেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেছেন, বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি, আইএসএফ কর্মী ও সাধারণ মানুষের ওপরে তৃণমূলের হামলার তীব্র নিন্দা করছি। আইএসএফ’র ১৮ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তারও করেছে। ভাঙড়ে বারবার তৃণমূলের তরফে হামলা চালানো হচ্ছে। জমি দখল করার জন্য জমি হাঙরদের চেষ্টা, জলাশয় ভরিয়ে প্রোমোটিং করার জন্য সিণ্ডিকেটের দখলদারির উদ্দেশ্যেই এই হামলা চালানো হচ্ছে। এই আক্রমণের বিরুদ্ধে রাজ্যব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচি নিতে আহ্বান করছি। ভাঙড়েই এই হামলার বিরুদ্ধে বড় আকারে প্রতিবাদ সংগঠিত হবে।
আইএসএফ’র অভিযোগ, শুক্রবার রাত থেকে ভাঙড় সহ সংলগ্ন অঞ্চলে তান্ডব চালাচ্ছে তৃণমূল। সাধারণ গ্রামবাসীদের উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে। ২১ জানুয়ারি রাণী রাসমণি অ্যাভিনিউতে নওসাদ সিদ্দিকির সভা যাতে ভন্ডুল হয়, তারজন্য বাসন্তী হাইওয়ে জুড়ে আইএসএফ সমর্থক বোঝাই গাড়িগুলিতে হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। বাধ্য হয়েই প্রতিরোধে নামেন সাধারণ মানুষ। তাতে বেশ কয়েকজন তৃণমূলী দুষ্কৃতি আহত হয়। সাধারণ মানুষের ক্ষোভ আছড়ে পড়ে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে। তৃণমূলের অভিযোগ, তাঁদের তিনটি দলীয় অফিস জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল দুষ্কৃতীদের ঠেক হিসেবে পরিচিত একটি চায়ের দোকানেও জনতার ক্ষোভ আছড়ে পড়ে।
এরপর শনিবার দুপুরে ধর্মতলায় বিক্ষোভ দেখান আইএসএফ সমর্থকরা। তাঁদের পথ অবরোধ চলাকালীন অবস্থানে ঝাঁপিয়ে পড়ে কলকাতা পুলিশ। আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি সহ ১৮জন আইএসএফ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আইএসএফ’র জমায়েত ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
এরপর শনিবার রাত ৯টা থেকে ভাঙড় অঞ্চলে নতুন করে পুলিশী অভিযান শুরু হয়। বাসন্তী হাইওয়ে ধরে ভাঙড়ে ফেরা আইএসএফ কর্মী সমর্থকদের গাড়ি গুলি থামিয়ে শতাধিক কর্মী সমর্থককে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানায় গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের একটি অংশ জানাচ্ছে, আটক আইএসএফ কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে খোঁজার চেষ্টা চলছে তৃণমূলের উপর হামলার ঘটনায় কারা জড়িত।
Comments :0