East Bengal

‘জিততেই হবে’ মনোভাব ইস্টবেঙ্গলের

খেলা

চার বছর আগে শেষবার ইস্টবেঙ্গল বড় ম্যাচ জিতেছে। তারপর আর কখনও জেতেনি। সাতটি সাক্ষাতে সাতবারই হেরেছে। ৮-০ আটকাতে বড্ড মরিয়া ইস্টবেঙ্গল। ক্লেটন সিলভা, নাওরেম মহেশদের কাছে এটাই এখন সবচেয়ে বড় মোটিভেশন। এমনিতেই ইস্টবেঙ্গলের এটাই আইএসএল’র শেষ ম্যাচ। তাই আবেগের ডার্বি জিতেই ভালোভাবে শেষ করতে চাইবে লাল হলুদ ব্রিগেড। তাছাড়া শেষ ম্যাচে লিগ শিল্ড জয়ী মুম্বাই সিটি এফসি-কে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে ইস্টবেঙ্গল। দলে সবাই ফিট। মোহনবাগানের মতো চোট-আঘাতের কোনও খবর নেই। ক্লেটন সিলভার মতো গোলস্কোরার রয়েছেন। ছন্দে আছেন নাওরেম মহেশ। এঁদের দোসর আবার জ্যাক জার্ভিস। ডিফেন্ডার-মাঝমাঠের ফুটবলাররা নিজেদের ক্ষমতা-দক্ষতা অনুযায়ী লড়ছেন। ম্যাচের ২৪ ঘণ্টার আগের অনুশীলনে ফুটবলারদের শরীরীভাষায় ফুটে উঠছিল বাড়তি তাগিদ। সম্মান পুনঃরুদ্ধার করতে ইস্টবেঙ্গলের চাঁদমারি জয়ই।


১৯ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে ইস্টবেঙ্গল রয়েছে দশ নম্বরে। বড় ম্যাচে অন্তত এক পয়েন্ট পেলেই নয় নম্বরে শেষ করতে পারবে। আগের দু’মরশুমের তুলনায় তখন এটাই ভালো ফলাফল হিসাবে ধরা নেওয়া হবে। ডার্বির আগের দিনই প্রধান কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন বলে দিলেন, ‘আগের দু’বছরের তুলনায় এটাই সেরা মরশুম। ছ’টা ম্যাচ জিতেছে। বেশি ক্লিনশিট রেখেছি।’ অতীতে বড় ম্যাচের পরিসংখ্যান নিয়েও তিনি বেশি ভাবছেন না। তাঁর কথা অনুযায়ী সবচেয়ে কঠিন ম্যাচ ডার্বির জন্য দলকে প্রস্তুত করে দিয়েছেন। এবার ফুটবলারদের দায়িত্ব মাঠে নেমে কোচের পরিকল্পনা কার্যকর করা। যা চলতি মরশুমে অনেক ম্যাচেই করতে পারেনি। মনঃসংযোগ হারিয়ে ভুল করে পয়েন্ট নষ্ট করেছিল ইস্টবেঙ্গল। এটা নিয়ে এদিন বিপক্ষের অধিনায়ক প্রীতম কোটালও কথা বলছিলেন। 


গত ডার্বিতে লড়াই করেছিল ইস্টবেঙ্গল। চাপে ফেলেছিল মোহনবাগানকে। এবার টিমটা অবস্থা আগের থেকে অনেক ভালো। বিপক্ষের দুর্বলতার সুযোগকে কাজে লাগাবেন ক্লেটনরা। খুব সম্ভবত উইনিং কম্বিনেশন ভাঙবেন না কনস্টানটাইন। মুম্বাই ম্যাচের একাদশকে খেলাবেন আবার। রক্ষন জমাট রেখে প্রতি আক্রমণে গোল করার চেষ্টা করে ইস্টবেঙ্গল। বড় ম্যাচেও সেটাই পরিকল্পনা। তবে শুধু বাঁ-দিক দিয়ে নয় দুই প্রান্ত থেকে আক্রমণ শানানোর পরিকল্পনা রয়েছে লাল হলুদ ফুটবলারদের। বাঁ-প্রান্তটাকে কাজে লাগাবেন নাওরেম। তাঁর গতি দিয়ে। ডান প্রান্তটাকে সুহের। দু’প্রান্ত থেকে সেন্টার-ক্রস রাখবেন এঁরা, গোলে পরিণত করার চেষ্টা করবেন ক্লেটন ও জার্ভিস। কেরালার সুহের গত বৃহস্পতিবারই বলছিলেন, বড় ম্যাচে গোল করা তাঁর স্বপ্ন। আগের দু’টি ম্যাচে (ডার্বি) ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণভাগের কোনও ফুটবলারই গোল পাননি। এবার কি পারবেন খাতা খুলতে? বাগান ডিফেন্সকে সমস্যায় ফেলতে এই চারজনকে দিয়ে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। মাঝমাঠের লড়াই যদি অ্যালেক্স লিমা ও মোবাশির রহমানরা জিততে পারেন, তাহলে আক্রমণভাগ ফুটবলারদের অনেকটাই সুবিধে হবে।
 

Comments :0

Login to leave a comment