পহেলগাম পরবর্তী সামরিক সংঘাতের গতিপ্রকৃতির দিকে তাকিয়ে বিশ্ব। পারমানবিক শক্তিসম্পন্ন দুই প্রতিবেশীর সম্পর্ক কোন দিকে গড়ায় তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে আন্তর্জাতিক স্তরে।
আমেরিকা কেন্দ্রিক সংবাদ প্রতিষ্ঠান সিএনএন জানাচ্ছে যে পাকিস্তান ভারতের পাঁচটি যুদ্ধ বিমান এবং একটি ড্রোন গুলি করে নামানোর দাবি জানিয়েছে। পাকিস্তানের দাবি, এর মধ্যে রয়েছে ফ্রান্সের দাসাউ অ্যাভিয়েশনের থেকে নেতা তিনটি রাফাল। ভারত যদিও ওমন কোনও দাবিকে স্বীকার করেনি।
ভারতীয় সেনা সংবাদমাধ্যমে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আকাশ থেকে আক্রমণের ভিডিও প্রকাশ করেছে।
এদিকে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের একটি স্কুলে যুদ্ধবিমানের অংশ এসে পড়েছে। তবে বিনাটি ভারত না পাকিস্তানের তা নিশ্চিত করা যায়নি।
সিএনএন পাকিস্তানের নিরাপত্তা সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলছে যে বিমান তেকে ক্ষেপণাস্ত্র হানায় পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নীলম নদীতে নুসরি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বুধবার সকালেই এমন অভিযোগ খারিজ করেছে ভারত। বিদেশমন্ত্রী বিক্রম মিসরি স্পষ্ট বলেছেন যে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটির ওপরই ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ হয়েছে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর দাবি, ভারতের আক্রমণে ২৬ জন অসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। ভারতের এই প্রসঙ্গেও মঙ্গলবার গভীর রাত থেকেই বলছে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কেবল সন্ত্রাসবাদীদের।
বুধবার দুপুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমের বক্তব্য, পাকিস্তান সামরিক সংঘাতের মাত্রা কতটা চড়াবে তা নির্ভর করছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধান সৌয়দ আসিম মুনিরের ওপর। প্রাক্তন গুপ্তচর মুনিরের সেনাপ্রধান পদে নিয়োগ ঘিরেও বিতর্ক হয়েচিল ২০২২-এ। পাকিস্তানের নাগরিক জীবনে সেনাবাহিনীর প্রাধান্য আলোচনার বিষয় হয় তখন।
Military Conflict
পড়শি দু‘দেশের সামরিক সংঘাত কোন দিকে, তাকিয়ে বিশ্ব

×
Comments :0