মোরবি ব্রিজ ভাঙা নিয়ে আদালতে একাধিক রিপোর্ট পেশ করল গুজরাট পুলিশ। মুলত নির্মানকারী সংস্থা অরেভার বিপক্ষেই একগুচ্ছ অভিযোগ জমা করেছে তারা। সরকারি বা পৌরসভার গাফিলতির কথা উল্লেখই করা হয়নি। ঘটনার দুদিন পরে প্রাথমিক তদন্তের ওপর ভিত্তি করে আদালতে পুলিশ জানিয়েছে আদপে কোনও সংস্কারমুলক কাজই হয়নি মাচ্ছু নদীর ওপর থাকা শতাব্দি প্রাচীন ওই ঝুলন্ত ব্রিজের। লোহার দড়ি বা ওয়ারের কোনও পরিবর্তন করা হয়নি শুধুমাত্র ব্রিজের মেঝের ওপরে থাকা কাঠের তক্তাই পরিবর্তন করা হয়েছিল। সেখানে যে উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছিল তা যথেষ্টই ভারী ছিল বলেও আদালতে জানাল পুলিশ। এছাড়াও কাজ শুরু হওয়ার আগেও কোনও স্ট্রাকচারাল অডিট করা হয়নি ১৪৩ বছরেরে পুরোনো এই ব্রিজের। বেশীরভাগ ওয়ারই পুরোনো জং ধরা ফলে তা সহযেই ভেঙে পরে। শুধুমাত্র রঙের পোচ দেওয়া হয়েছিল লোহার দড়িগুলোতে। সঠিকভাবে মেরামত করা হলে হয়তো এই দুর্ঘটনা এড়ানো যেত।
পুলিশ আরও জানায় যে সংস্থাকে মেরামতির কাজের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল অতএব ওরেভার ব্রীজ মেরামতি করার মতো কোনও অভিজ্ঞতাই নেই। কোনও রকম পরীক্ষামুলক ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে যায়নি সেতুটি। কাজের কোনও সরকারি ডকুমেন্টেশনও নেই, সরকারিভাবেও কেউ ব্রিজটি পর্যবেক্ষন করতে আসেনি। ডিসেম্বর অবধি ওরেভাকে কাজের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তার অনেক আগেই তা খুলে দেওয়া হয় জন সাধারণের জন্য। এছারাও যারা উদ্ধার কার্যে নেমেছিল তাদের কাছেও কোনও জীবনদায়ী ব্যবস্থাপনা ছিল না।
এদিন বিচারপতি এম জে খান ধৃত ৯ জনের মধ্যে ৪ জনকে শনিবার পর্যন্ত পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছে। ওই চারজনের মধ্যে রয়েছেন দুজন ওরেভার ম্যানেজার ও দুজন কন্ট্রাক্টর। এছাড়াও গ্রেপ্তার হওয়া বাকি পাঁচজনকে তাদের মধ্যে রয়েছে নিরাপত্তারক্ষী টিকিট বিক্রেতা। তাদেরও হেপাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত এই একই সংস্থাকে ব্রীজ মেরামতির জন্য ২০০৭ সালে ও তারপর ২০২২ সালেও বরাদ্দ দেওয়া হয়। কি কারনে একই সংস্থাকে দুবার বরাদ্দ দেওয়া হল তাও জানতে চায় আদালত। এক্ষেত্রে মোরবি পৌরসভার নাম বারবার উঠে আসছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত পৌরসভার কাউকে এই দুর্ঘটনার জন্য গ্রেপ্তার বা আটক কিছুই করেনি পুলিশ। মোরবির দুর্ঘটনা নিয়ে শুধুমাত্র ওরেভাকে দোষারোপ করা চলবে না বলে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা।
Morbi bridge
মোরবি ব্রিজের মেরামতই হয়নি শুধু পড়েছে রঙের পোচ,
আদালতে জানল পুলিশ
×
Comments :0