যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হয়েছে। রবিবার থেকে চালু হবে তার মেয়াদ। কিন্তু ঘোষণার পর থেকে প্যালেস্তাইনের অন্তত ১০০ নাগরিককে হত্যা করেছে ইজরায়েলের সেনা।
গাজার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হলেও সরকারিভাবে অনুমোদন করেনি ইজরায়েল। শুক্রবারই প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু মন্ত্রীসভা বৈঠক ডেকে এই চুক্তিকে অনুমোদন করাতে পারেন।
তবে ইজরায়েলের ভূমিকা ঠিক কী হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের অন্যতম আধিকারিক শাইনা লো সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘‘ইজরায়েল কতটা ত্রাণ গাজায় সরবরাহ করতে দেবে তা মোটেই নিশ্চিত নয়। ইজরায়েলও বিষয়টি নির্দিষ্ট করেনি। যুদ্ধবিরতি চুক্তির সঙ্গে ত্রাণ সংক্রান্ত বোঝাপড়া নির্দিষ্ট হওয়া জরুরি।’’
রাষ্ট্রসঙ্ঘ বিভিন্ন সময়েই বলছে যে ইজরায়েলের আগ্রাসনে বিধ্বস্ত গাজায় প্রায় দুর্ভিক্ষ চলছে। অপুষ্টি, চিকিৎসার অভাব, পানীয় জল না থাকা এবং স্বাস্থ্যসম্মত আবাসের অভাবে বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে শিশুরাও। ইজরায়েলের সেনা বারবার ত্রাণ সরবরাহে বাধা দিয়েছে। ত্রাণকর্মীদের ওপর আক্রমণও চালিয়েছে। বারো মাসের বেশি সময় ধরে আগ্রাসনে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে ত্রাণশিবির, হাসপাতাল।
গাজার নাগরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ জানাচ্ছে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর থেকে ১০১ প্যালেস্তিনীয় নিহত। তাদের মধ্যে ২৭ শিশু এবং ৩১ মহিলা। শুক্রবার গাজার এই বিভাগ জানিয়েছে যে আকাশ থেকে পেলা বোমায় নিহত হয়েছেন এক সাংবাদিক এবং তাঁর পরিবারের চার সদস্য। বিভিন্ন বসতি এলাকায় হামলা চলছে।
এর আগে লেবাননের সশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠী হেজবোল্লার সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েল।
ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু শুক্রবারও বলেছেন যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত হলো বন্দিদের ফেরাতে হবে হামাসকে। এর আগে মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন এবং কাতারের প্রধানমন্ত্রী জানান যে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে। ইজরায়েলের ৩৩ বন্দিকে ফেরানোর শর্তে হয়েছে চুক্তি।
Gaza Ceasefire Death
যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও গাজায় শতাধিক মৃত্যু ইজরায়েলের হামলায়
×
Comments :0