নবান্নের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে রোদ থেকে রেহাই পেতে ছাতা ব্যাবহার করতে। এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে রোদের বেরোলে হালকা সুতির জামা এবং রোদ চশমা ব্যাবহার করার। গরমে শরীরে জলের ঘটাতি যাতে না হয় তার জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে জল খাওয়ার প্রয়োজনে নুন চিনি লেবুর সরবত, মরসুমি ফল, লস্যি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
রোদের দুপুরে বাইরে বেরিয়ে যাদের তাদের দুপুরের আগে কাজ শেষ করার কথা বলা হয়েছে। সানস্ট্রোক এড়াতে কাজের ফাঁকে কিছুটা সময় ছায়ায় বিশ্রামের কথা বলেছে নবান্ন। এর পাশাপাশি রোদে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে শিশু, বয়স্ক এবং অসুস্থ ব্যাক্তিকে রেখে না দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়।
ক্ষিণবঙ্গে যে লাগাতার তাপের দাপট বাড়বে তা নিয়ে বারংবার সতর্ক করে গিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত একান্ত প্রয়োজন না থাকলে রোদে না বেরোনোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহেই কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী জেলায় শুরু হবে তাপপ্রবাহ। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা কম থাকায় ঘাম কম হলেও শুষ্ক গরমে অস্বস্তি আরও বাড়ছে। কলকাতায় এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছে যায় ৪০ ডিগ্রির গোড়ায়। কলকাতায় মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৬ ডিগ্রি। এই তাপমাত্রা গড় স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ডিগ্রি বেশি।
বৈশাখ না পড়তেই চৈত্রের গরম ৪০ ডিগ্রিকে ছুঁয়ে ফেলাটা বেশ অস্বাভাবিক। রোদের তেজে চোখ ঝলসে গেলেও বাংলার সেই ঘেমো গরম এখনো পর্যন্ত দেখা যায়নি। বাতাসে জলীয় বাষ্প কমের জেরে ঘাম না হলেও দুপুরের পর থেকে গরম হাওয়া (লু) বয়ে যাওয়ার একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সাধারণত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এই সময়ের গড় স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ ডিগ্রি বেড়ে গেলেই সেটাকে তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি বলা হয়।
Comments :0