ওই গ্রামের ঘর ছাড়াদের নিয়ে গ্রামে পৌঁছায় দলীয় নেতৃত্ব। তাদের নিয়ে গ্রামে ঢুকতে গেলে রাস্তা আটকায় পুলিশ। সোমবার সকালে জয়নগরের তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিনের খুনের পর দলুয়াখাঁকি গ্রামের একের পর এক সিপিআই(এম) কর্মী সমর্থকদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। সারা রাত খোলা আকাশের নিতে থাকতে হয় গ্রামের মহিলা, শিশুদের। দক্ষিণ বারাসাতের সিপিআই(এম)’র দলীয় কার্যালয়ে আশ্রয় দেওয়া হয় তাদের। সেখান থেকে এদিন শমীক লাহিড়ী, সুজন চক্রবর্তীরা তাদের গ্রামে নিয়ে যায়।
গ্রামের কাছে যাওয়ার সাথে সাথে লাঠি হাতে রাস্তা আটকায় পুলিশ। মহিলা পুলিশ ছাড়াই মহিলা গ্রামবাসীদের সড়িয়ে দিতে দেখা যায় পুলিশকে। পুলিশের দাবি তারা কাউকে আটকাচ্ছে না। অথচ সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে পুরুষ পুলিশ লাঠি দিয়ে রাস্তা আটকে দাঁড়িয়ে আছে। ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়েছে মহিলাদের। রাস্তা আটকালে সুজন চক্রবর্তী, কান্তি গাঙ্গুলির সঙ্গে বচসা বাঁধে। দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক ধাক্কাধাক্কি হয়।
ঘরছাড়াদের অভিযোগ যেই পুলিশ তাদের গ্রামে যেতে আটকাচ্ছে, তাদের সামনেই সোমবার সকালে আগুন ধরানো হয়। বিক্ষোভরত গ্রামবাসীদের কথায়, ‘পুলিশ আমাদের বাড়ি যেতে দিচ্ছে না। আমরা বাড়ি যেতে চাই। কাল থেকে পুলিশ গ্রামে আসেনি। আজ যেই পার্টির লোকেরা আমাদের সাথে এসেছে ওমনি রাস্তা আটকাতে পুলিশ দাঁড়িয়েছে।’
সিপিআই(এম) নেতৃত্বের কথায় দলীয় অফিসে প্রায় ৫০ জন মহিলা এবং শিশু আশ্রয় নিয়েছেন। গ্রামে আরও অনেক মানুষ আটকে রয়েছেন বলে নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ঘর ছাড়াদের নিয়ে ২৩ নভেম্বর থানা অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে নেতৃত্বের পক্ষ থেকে।
সোমবারের ঘটনার পর গ্রামের পুরুষরা গ্রাম ছাড়া। তারা কোথায় রয়েছে তা জানা নেই পরিবারের সদস্যদের। সিপিআই(এম) নেতৃত্বের পাশাপাশি গোচরনে আটকানো হয় ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে।
Comments :0