ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের সিপিআই(এম) প্রার্থী প্রতিক উর রহমানের সমর্থনে নোদাখলী থেকে রোড শো করেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। নোদাখালী, বাকড়াহাট,আমতলা, জুলপিয়া হয়ে আন্ধার মানিক, কুলেদাড়ি,পানাকুয়া সন্ত্রাস কবলিত এলাকা ঘুরে জোকা,পৈলানে শেষ হয় এই মিছিল। সেলিম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শমীক লাহিড়ী, কংগ্রেস নেতা সৌম আইচ রায়, সিপিআই(এম) জেলা সম্পাদক রতন বাগচি।
তৃণমূলের হুমকি চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা বহু মানুষ এদিন রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
মহম্মদ সেলিম বলেন, ভাইপো গোটা এলাকা জুড়ে মাফিয়া রাজ কায়েম করেছে। প্রতিক উর এর বিরুদ্ধে লড়ছে। লুঠে বিরুদ্ধে লড়ছে। কমিশনকে দাবিত্ব নিতে হবে যাতে এখানকার মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারে।
সোমবার নির্বাচন কমিশন দপ্তরে গিয়ে অবাধ ভোটদানের পক্ষে ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে নির্দিষ্ট অভিযোগ জমা দেয় সিপিআই(এম)। ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রে এবার সিপিআই(এম) প্রার্থী প্রতিক উর রহমান। তিনি যান সিইও’র সঙ্গে দেখা করতে। সঙ্গে ছিলেন এই কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ এবং সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শমীক লাহিড়ী।
ফলতা বিধানসভা ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে। ১ জুন ভোট এই কেন্দ্রে। রহমান বলছেন, ‘‘ফলতায় ইভিএম কমিশনিংয়ে সিপিআই(এম)’র কোনও প্রতিনদিকে অংশই নিতে দেওয়া হয়নি।’’ তাঁর দাবি, ‘‘ফলতায় মাফিয়া তৃণমূল সাংসদের সহযোগী জাহাঙ্গীর কাউকে প্রচারই করতে দিচ্ছে না। একে নজরবন্দি করতে হবে। ভোটের দিন জাহাঙ্গীর বিভিন্ন এলাকায় ভোটদাতাদের সন্ত্রস্ত করে। এবার জাহাঙ্গিরের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে কমিশনকে।’’
ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রে এখন সাংসদ তৃণমূলের অভিষেক ব্যানার্জি। মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো বিরোধী স্বর দমন করতে পুরো প্রশাসন যন্ত্রকে ব্যবহার করছেন। সংবিধানে অবাধ ভোটাধিকারের কথা বলা রয়েছ। তা নিশ্চিত করার কথা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের। সেই দায়িত্ব নিতে হবে, বলেছেন প্রতিক উর।
গত লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবারের ৪২২টি বুথে ভোটদানের হার ৯০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। ৪৪৫টি বুথে ভোটদানের হার ৮০ শতাংশের ওপর। কোনও পঞ্চায়েত বা পৌরসভায় একজনও বিরোধী প্রতিনিধি নেই। ডায়মন্ডহারবারে গণতন্ত্রের চেহারা ঠিক এরকম।
Comments :0