কিন্তু প্রত্যাশা মতো হাজিরা দিলেন না সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা। হাই কোর্টে আইনজীবী মারফত বার্তা পাঠালেও ইডি দপ্তরে কোন প্রতিনিধি পাঠাননি শেখ শাহজাহান। ইডির দাবি তারা শেখ শাহজাহানে বাড়ি থেকে রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক নথি উদ্ধার করেছে। তা খতিয়ে দেখে তারা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু আদৌ কৌ ফেরার তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে কোন নথি তারা পেয়েছে। তার কারণ ৫ জানুয়ারি শেখ শাহজাহানের বাড়ির সামনে ওই ঘটনার পর প্রায় ২০দিন বাদে সেখানে যায় ইডি আধিকারিকরা। অনেকের দাবি এই সময়ের মধ্যে যাবতীয় জিনিস অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে শাহজাহান।
স্থানীয়দের দাবি পুলিশের সাহায্য নিয়ে নিরাপদ আশ্রয় আছেন তৃণমূল নেতা। এলাকাতেই সে রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। যেই শাহজাহান আদলত নামায় সই করছে, ভয়েস মেসেজ পাঠাচ্ছে তাকে কোন খুঁজে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না সেই নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তৃণমূলের শীর্ষ নেত্রী মমতা ব্যানার্জি অবশ্য এই নিয়ে চুপ। ভাইপো চুপ।
রেশন দুর্নীতি কান্ডে ধৃত রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অত্যন্ত ঘনিষ্ট ছিলেন শেখ শাহজাহান। সূত্রের খবর শঙ্কর আঢ্য, শেখ শাহজাহানের মাধম্যে দুর্নীতির কালো টাকা বিদেশে পাচার করতেন বালু। এছাড়া শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে পুকুর চুরি থেকে শুরু করে জমি দখল একাধিক বেআইনি ব্যবসা চালানো, বেআইনি অস্ত্র মজুত রাখার মতো অভিযোগ আছে।
Comments :0