ডোনাল্ড ট্রাম্প শুরু করেছিলেন আগেই। এবার সঙ্গী ধনকুবের এলন মাস্কও দক্ষিণ আফ্রিকাকে আক্রমণের নিশানা করলেন। বর্ণবৈষম্যবাদ বিরোধী অবস্থানকেই কাঠগড়ায় তুলতে চেয়েছেন অতি দক্ষিণপন্থী দৃষ্টিকোণ থেকে।
টেসলা এবং স্পেসএক্স’র মালিক মাস্কের লক্ষ্য তাঁর স্যাটেলাইট সংযোগ পরিষেবার ব্যবসা স্টারলিঙ্কের জন্য বাজার। দক্ষিণ আফ্রিকার বাজার খোলার জন্য আবেদন আগেই জানিয়েছিলেন তিনি। সেই আবেদন মঞ্জুর হয়নি। ক্ষোভ জানিয়ে মাস্ক তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘‘আমার ত্বকের রঙ কালো নয়। সে কারণে আমাকে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না দক্ষিণ আফ্রিকায়।’’
দক্ষিণ আমেরিকার এক ব্যবসায়ী রব হারসেভের বক্তব্যও প্রচার করছেন মাস্ক। হারসেভ বলছেন, ‘‘শ্বেতাঙ্গবিরোধী আইন নিয়ে চলে দক্ষিণ আফ্রিকা।’’
মাস্কের বক্তব্যের কড়া প্রতিবাদ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ক্লেসন ম্যানেলা। ম্যানেলা সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘‘মাননীয় এলন মাস্ক ভালমতোই জানেন যে তিনি ঠিক বলছেন না। আপনার ত্বকের রঙ বা জাতিগোষ্ঠীর বিচার করে বিনিয়োগ অনুমোদনের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে না। দক্ষিণ আফ্রিকার আইন মেনে ব্যবসা করতে চাইলে আপনি স্বাগত।’’
শ্বেতাঙ্গ বর্ণবিদ্বেষী শাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রামের ফসল দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাধীনতা।দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার বলছে দেশে শ্বেতাঙ্গ মাত্র ৭ শতাংশ। অথচ এখনও তাদের হাতে দেশের সিংহভাগ জমি। ভূমি সংস্কার করে ভূমিহুীনদের হাতে জমি তুলে দিতে হবে। বঞ্চিতরা বেশিরভাগই কৃষ্ণাঙ্গ। ২০৩০ সালের মধ্যেই ভূমিসংস্কার করে বৈষম্য কাটানোর লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে।
এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকার এই ভূমিসংস্কার প্রক্রিয়াকে ‘মানবাধিকার বিরোধী’ আখ্যা দিয়েছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকাই আন্তর্জাতিক আদালতে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার অভিযোগ দায়ের করেছে। ট্রাম্প সরাসরি এই ভূমিকায় আপত্তি তুলেছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি সিরিল রামফোসা ট্রাম্পের অভিযোগ বাতিল করে বলেছেন, আমাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করে লাভ নেই। রাষ্ট্রপতির দপ্তর জানিয়েছে মাস্কের সঙ্গে ফেব্রুয়ারিতে কথা বলেছেন তিনি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে রাষট্রপতি রামফোসা ‘অপপ্রচার এবং দক্ষিণ আফ্রিকা সম্পর্কে বিকৃত প্রচারের বিরোধিতা করেছেন বৈঠকে।’
MUSK vs SOUTH AFRICA
গায়ের রঙ নয়, দেশের আইনই আসল কথা, মাস্ককে সপাটে জবাব দঃ আফ্রিকার

×
Comments :0