দুর্গাপুরে মেডিক্যাল ছাত্রী ধর্ষণে ৩ অভিযুক্তকে ১০ দিনের পুলিশ হেপাজতে পাঠালো মহকুমা আদালত। রবিবার দুর্গাপুরে যায় চিকিৎসকদের একটি প্রতিনিধিদলও।
দুর্গাপুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কার্যত আক্রান্ত ছাত্রীকেই দায়ী করেন। তিনি বলেন যে ছাত্রীদের হস্টেলের বিধি মেনে চলা উচিত। বিশেষ করে যারা পশ্চিমবঙ্গের বাইরে থেকে এসেছেন তাঁদের ক্ষেত্রে হস্টেলের বিধি মেনে চলা উচিত। গভীর রাতে হস্টেলের বাইরে না বের হওয়া উচিত।
সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, যদিও কোথাও যাওয়ার মৌলিক অধিকার সকলের রয়েছে। কিন্তু পুলিশের পক্ষে সবার ওপর নজরদারি করা সম্ভব নয়। আধিকারিকরা কিভাবে জানবেন রাতে কে কখন বের হচ্ছে। প্রতিটি ঘরের বাইরে তাঁদের পাহাড়া দেোয়া সম্ভব নয়।
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া ছড়াতে সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন যে বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে।
এদিন দুর্গাপুরে প্রতিবাদী চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দলে ছিলেন স্টুডেন্টস হেলথ হোমের চিকিৎসক ডাঃ পবিত্র গোস্বামীও। তিনি বলেন, বারবার কিভাবে অপরাধীরা এত দুঃসাহসী হয়ে উঠছে রাজ্যে। কিভাবে একের পর এক ধর্ষণ হচ্ছে। তার আসল কারণ এ রাজ্যের প্রশাসন আসল অপরাধীদের ধরতে চায় না। সে কারণে এমন অপরাধ করার সাহস বেড়ে যাচ্ছে।
এদিন বিজেপি দুর্গাপুরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। গোস্বামী বলেছেন, কেবল রাজ্য নয়, যারা কেন্দ্রের সরকারের রয়েছে তারাও আসল অপরাধীদের শাস্তি দিতে চায় না। আরজি করে মেডিক্যাল ছাত্রীর ধর্ষণ-খুনে আমরা দেখেছি সিবিআই কিভাবে তদন্ত চেপে গিয়েছে। সেই অপরাধের বিচার আজও মেলেনি।
এই চিকিৎসকরা বলেন যে প্রকৃত অপরাধীদের বিচার না হলে আন্দোলন তীব্র হবে।
এদিকে মহকুমা আদালতে ধৃতদের বিরুদ্ধে দলবদ্ধ ধর্ষণ এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ জানানো হয়েছে। ওড়িশার জলেশ্বর
গত শুক্রবার রাতে দুর্গাপুরের ওই বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী হস্টেলের বাইরে তাঁকে ধর্ষণের অভিযোগ জানান। পরিবার এফআইআর দায়ের করেছে নিউ টাউনশিপ থানায়।
জানা গিয়েছে ধৃতদের মোবাইল ফোন পরীক্ষা করছে পুলিশ। হস্টেলের বাইরে পরাণগঞ্জ কালিবাড়ি এলাকায় ধর্ষণের জায়গাটিতে কর্ডন করা হয়েছে।
Rape Durgapur
ধৃতদের হেপাজত, রাতে ছাত্রীদের বাইরে বেরনো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে ক্ষোভ

×
Comments :0