বরফের চাদরে মুড়লো দার্জিলিঙ পার্বত্য এলাকার সান্দাকফু। রবিবার রাত থেকে প্রবল তুষারপাত শুরু হয়েছে সান্দাকফুতে। তুষারপাতের জেরে সোমবার সারাদিন আকাশ মেঘে ঢাকা ছিলো। তাপমাত্রাও অনেকটাই নেমে গেছে।
আচমকাই তুষারপাতে পর্যটকরা খুশি। পাশাপাশি উত্তর ও পূর্ব সিকিমেও তুষারপাত চলছে।
পূর্ব সিকিমে প্রবল তুষারপাতের জেরে পর্যটকরা আটকে পড়েছেন। পর্যটকদের নিয়ে তুষারাবৃত পাহাড়ি রাস্তায় আটকে রয়েছে একাধিক গাড়ি। নাথুয়া সীমান্ত যাওয়ার জওহরলাল নেহরু রোড ঢেকে গেছে সাদা বরফের পুরু চাদরে। ছাঙ্গু লেক সহ আশপাশ সাদা তুলোর মতো বরফে মুড়ে গেছে।
ইতোমধ্যেই সেনা জওয়ানরা বরফ সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছেন। আকাশ থেকে অবিরাম তুষার বৃষ্টি নেমেই চলেছে। তাই বরফ সরাতে গিয়ে একটু অসুবিধার মুখে পড়তে হচ্ছে। গত বেশ কয়েকদিন থেকেই প্রবল বৃষ্টির কারণে উত্তর সিকিমের একাধিক রাস্তায় ধস বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। প্রবল বর্ষণে ক্ষতির মুখে পড়েছে লাচেন—চুংথাং রোড। বৃষ্টি ও ধস পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত আপাততভাবে উত্তর সিকিমে পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
সান্দাকফুতে তুষার পাতের প্রভাব পড়েছে সমগ্র উত্তরবঙ্গের সংলগ্ন এলাকায়। তীব্র দাবদাহের পর শিলিগুড়িতে আবহাওয়ার অনেকটাই পরিবর্তন ঘটেছে। গরমের হাত থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলেছে শহরবাসীদের। খুব সকালে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। রবিবার রাত থেকে বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হয়েছে শিলিগুড়ি ও সংলগ্ন অঞ্চলে।
সোমবার খুব সকালের দিকে প্রবল ঝড়ো হাওয়ার পাশাপাশি হালকা বৃষ্টিও হয়েছে দফায় দফায়। সারাদিন রোদের মুখ দেখা যায়নি। পাহাড় লাগোয়া সমতলের শিলিগুড়ির পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের আশপাশের জেলাগুলিতে দিনভর আকাশ মেঘলা ছিল।
Comments :0