বাবা-মাকে খুনের অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং থানার দেভোগ গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার খড়পোড়া গ্রামে এলাকার ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদের নাম ভীম হাঁসদা(৫৬) এবং সম্বরী হাঁসদা(৫০)। তাঁদের ছেলে পরেশ হাঁসদাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে পাওয়া খবরের বিবরণে জানা গেছে শনিবার সকালে ঘরের বিছানা থেকে রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত ক্ষেতমজুর দম্পতির দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার সময় বাড়িতে একমাত্র ছেলে না থাকায় সন্দেহ হয় পুলিশের। পরে ডেবরা থেকে ছেলেকে গ্রেপ্তার করে সবং থানার পুলিশ।
প্রতিবেশীরা বলেন, রাতথেকে টানা বৃষ্টি চলছিলো। সকাল ১০টার নাগাদ বেড়ার ঘরের বাঁশের দরজা ভেজানো ছিলো। তাঁরা ডাকাডাকি করলেও সাড়া না মেলায় দরজা খুলে দেখেন মেঝেতে চাপচাপ রক্ত। দম্পতির দেহ বিছানায় ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তারাই পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে দেহদুটি উদ্ধার করে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। প্রতিবেশীদের অভিযোগ প্রায় প্রতিদিন মদ খেয়ে এসে ছেলে বাড়িতে অশান্তি করতো। শুক্রবার রাতে বৃষ্টি হচ্ছিল সেই কারণে এই ঘটনাটি ঘটেছে বুঝা জায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই দম্পতির ছেলের নাম পরেশ হাঁসদা। ঘটনার সময় একমাত্র বাড়িতে না থাকায় সন্দেহ হয় সে কোথাও গা ঢাকা দিয়েছে এই ঘটনা ঘটিয়ে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ধারালো অস্ত্র দিয়েই খুন করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শুক্রবার দুপুরে মদ খাওয়ার জন্য ঘরের আসবাব লুকিয়ে নিয়ে পালাতে গেলে বাবা-মায়ের সঙ্গে অশান্তি ঝামেলা হয়। ঘর থেকে পালায় সে। সন্ধ্যায় ফিরে এসে বাড়িতে ছিলো। এদিন সকাল ১০টা বেজে গেলেও হাঁসদা দম্পতির বাড়ির দরজা ভেজানো ছিল। তা দেখেই প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। ডাকাডাকির পরেও দরজা না খোলায়, পড়শিদের কয়েকজন ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলে দেন। তখনই নজরে পড়ে ভয়াবহ দৃশ্য। পুলিশ তল্লাশি অভিযান চালিয়ে এদিন দুপুরে পরেশকে গ্রেপ্তার করে। তাকে জিজ্ঞাসা বাদ করছে পুলিশ।
পুলিশের বক্তব্য, ধারালো কোনও অস্ত্র দিয়ে দম্পতির উভয়ের মাথায় একাধিকবার কোপ মারা হয়েছে। বৃদ্ধার গলার নলি কাটা ছিল। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, কোনও অশান্তির কারণে ছেলে নৃশংসভাবে বাবা-মাকে খুন করে পালিয়েছিলো। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন।
paschim midnapore
বাবা-মাকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার ছেলে

×
Comments :0