অনিন্দিতা দত্ত- শিলিগুড়ি
গোটা শিলিগুড়ি শহর আনন্দে ভাসছে। রবিবার রাত থেকেই সেলিব্রেশন শুরু হয়েছে শহর জুড়ে। শিলিগুড়ি সুভাষপল্লী এলাকার বাসিন্দা রিচা ঘোষ ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারতকে জয়ী করেছে। তাঁর বাবা মানবেন্দ্র ঘোষ সহ পরিবারের সদস্যরা এই সময়ে মুম্বাইতে রয়েছেন। মাত্র চার বছর বয়স থেকেই বাবার হাত ধরে মাঠে যাওয়া শুরু করেছিলেন রিচা। বাঘাযতীন অ্যাথলেটিক ক্লাবে ক্রিকেট চর্চা শুরু করেন। প্রথম কোচ গোপাল সাহার হাতেই ক্রিকেটের প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। পরবর্তীতে আরও কোচ পেয়েছেন রিচা। শিলিগুড়িতে আসলেই প্রথম কোচের সাথে দেখা করতেন রিচা। এদিন বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য রিচা প্রসঙ্গে কোচ গোপাল সাহা বলেন, খুব ভালো লাগছে ওর জন্য। আমি গর্বিত। ছোট থেকেই ক্রিকেট খেলার শখ। বাবার হাত ধরে ৪ বছর বয়সে মাঠে যাওয়া। তখন শহর শিলিগুড়িতে মহিলা ক্রিকেটার ছিলোনা বললেই চলে। রিচা বাঘাযতীন অ্যাথলেটিক ক্লাবে প্রাক্টিস করতো। ছেলেদের সঙ্গেই তাঁকে প্রাক্টিস করে যেতো। মাঠে বসে থাকতেন তার বাবা। ছোট থেকেই প্রতিভাবান ছিলো। প্রথমে ও বোলার ছিলো। একদিন উইকেটকিপার না আসায় ওকে কিপিং করানো হয়। তারপর থেকেই কিপিং করা শুরু। এখন ও দেশের হয়ে খেলছে। আমার মনে হয় ওকে অমনজোতের আগে নামালে আরও বেশি রান করতে পারত। তবে ও যা খেলেছে তাতে আমি গর্বিত। শেষবার যখন দেখা হয়েছিল ওকে বলেছিলাম সব বল চালিয়ে খেলতে নাই। এখন দেখলাম সেটা ও বদলেছে। খুব ভালো লাগছে ওর জন্য।
এদিন সকালে শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের পক্ষ থেকে শহরের মহিলা ক্রিকেটারদের সঙ্গে নিয়ে রিচার সাফল্য কেক কেটে উদ্যাপন করা হয়। বাঘাযতীন অ্যাথলেটিক ক্লাবের পক্ষ থেকেও নানা প্রস্তুতি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। 
এদিন অশোক ভট্টাচার্য বলেন, রিচার বাবার সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। সাফল্যের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছি। রিচা ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলে এসেছে। ওর সাফল্যে শিলিগুড়িবাসী হিসেবে আমি অত্যন্ত গর্বিত বোধ করছি। শুধুমাত্র টিমের সাফল্য নয়, গোটা দেশের ক্রীড়াজগতের বিরাট সাফল্য। মেয়েরা কোন কিছুর পরিবর্তন ঘটাতে পারে এটা থেকে তা প্রমানিত হয়েছে। তিনি বলেন, সর্বপ্রথম মহিলা বিশ্বকাপ জয়ী দলের শিলিগুড়ির বাসিন্দা বাঙালি রিচা ঘোষ শিলিগুড়ি সুভাষপল্লী আমার পাড়ার মেয়ে। স্বাভাবিকভাবেই অনেক বেশী আনন্দের। রিচাকে অভিনন্দন জানিয়েছি। প্রতিটি খেলাতেই রিচার পারফরমেন্স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ছিলো। বিশ্বকাপ জয়ের ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা রয়েছে। টিমের মেয়েদের মধ্যে যে ঐক্য দেখা গেছে তা শিক্ষনীয়। রিচার ওয়ার্ডের সিপিআই(এম) কাউন্সিলার মৌসুমী হাজরা বলেন, বিশ্বচ্যাম্পিয়ন কবে ঘরে ফিরবে আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। শুধু ১৯ নম্বর ওয়ার্ডই নয় গোটা শহর অপেক্ষার দিন গুনছে তাঁকে সম্বর্ধনা দেওয়ার জন্য।
Richa Ghosh
বিশ্বজয়ী রিচার সাফল্যে আনন্দে ভাসছে শিলিগুড়ি
                                    
                                
                                    ×
                                    
                                
                                                        
                                        
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
Comments :0