Supreme Court rg kar

কেন দেরিতে এফআইআর প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

জাতীয় রাজ্য

আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকে খুন ও ধর্ষণ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হলো রাজ্যকে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচুড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এদিন প্রশ্ন তোলে কেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ এফআইআর করতে দেরি করেছিল। এদিন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয় যে কেন শেষকৃত্বের তিন ঘন্টা পর এফআইআর দায়ের করা হয়?
রবিবার আরজি কর মামলা স্বতঃপ্রনোদিত ভাবে নিজেদের হাতে নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের মতো সুপ্রিম কোর্টও আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিন বিচারপতির বঞ্চ বলেন, ‘‘যখন এই ঘটনা ঘটে কি করছিলেন অধ্যক্ষ? কেন দেরি করে পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হলো? হাসপাতালের মধ্যে কর্তব্যরত অবস্থায় একজন চিকিৎসকের সাথে এই ধরনের ঘটনা ঘটে গেলো, কর্তৃপক্ষ কি অপরাধীদের এই কাজ করার সুযোগ করে দিচ্ছিল?’’
এই ঘটনায় ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের আরজি করে অবাধ যাতায়াত ছিল বলে জানা যাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকলেও এতোদিন তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ। এমনটাই জানা যাচ্ছে।
আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে এদিনও জেরা করার জন্য ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই। এই নিয়ে টানা পাঁচদিন তাকে জেরা করা হচ্ছে।
গত ৯ আগস্ট তরুণীর দেহ সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হওয়ার পর পরিবারকে জানানো হয় যে সে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু ময়নাতদন্তের পর দেখা যায় যে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই চিকিৎসককে। গোটা ঘটনায় উত্তাল রাজ্য। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ কলকাতা পুলিশ কোন ভাবে তাদের সাথে সহযোগীতা করেনি। দ্রুত মামলা শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন তারা। হাইকোর্টের নির্দেশে এখন তদন্ত করছে সিবিআই।
সিবিআইকে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানির দিন তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে রিপোর্ট জমা করার।
এদিন শীর্ষ আদালতও আত্মহত্যার বিষয়টা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘সকালে মৃতদেহটি উদ্ধার হয়। তারপর কোন এফআইআর করা হয়নি। উল্টে বিষয়টাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পরিবারকেও দেহ দেখতে হয়নি।’’   
আরজি করের ঘটনার পর গোটা দেশে হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে চলছে আন্দোলন। এদিন শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে বিশিষ্ট চিকিৎসকদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটি আদালতের কাছে রিপোর্ট জমা দেবে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার জন্য কী কী প্রয়োজনীয়।

Comments :0

Login to leave a comment