পানাগড়ে গাড়ি দুর্ঘটনায় গ্রেপ্তার মৃত সুতন্দ্রার গাড়ি চালক রাজদেও শর্মা। সোমবার রাতে কাঁকসা থানার পুলিশ হুগলির ভদ্রেশ্বর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি পানাগড়ে দূর্ঘটনায় মৃত্যু হয় চন্দননগরের নৃত্য শিল্পী তথা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্নধার সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের।
তাঁর গাড়ির চালক রাজদেও শর্মা সহ সেই গাড়িতে থাকা সুতন্দ্রার সঙ্গীরা ঘটনার দিন দাবি করে, ইভটিজিং করা হচ্ছিল একটি সাদা গাড়ি থেকে। তারপর তাদের গাড়িকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যাওয়ার সময় তারা ধাওয়া করে। পরে আবার বয়ান বদল করে গাড়ির চালক।
বলে, ইভটিজিং হয়নি। গাড়িতে ধাক্কা দেওয়ায় সুতন্দ্রা বলেছিল সাদা গাড়িকে ধরতে। তাই একশ কিমি বেগে গাড়ি ছুটিয়ে গাড়ি ধরতে গিয়েই দুর্ঘটনা ঘটে। তাদের কথায় অসঙ্গতি বয়ান বদল দেখে সুতন্দ্রার মা চন্দননগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন গত ১ মার্চ। সেই অভিযোগ চন্দননগর থানা থেকে কাঁকসা থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সুতন্দ্রার মা তনুশ্রী চ্যাটার্জির অভিযোগ ছিল, সুতন্দ্রার গাড়িতে যারা ছিল আর বাবলু যাদবের গাড়িতে যারা ছিল সবাইকে তদন্তের আওতায় আনা হোক। পুলিশ স্বচ্ছ ভাবে তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করুক। তিনি কাউকেই সন্দেহের উর্ধে রাখছেন না।
বাবলু যাদবকে ঘটনার কয়েকদিন পর গ্রেপ্তার করে কাঁকসা থানার পুলিশ।
সোমবার রাতে ভদ্রেশ্বর দাস পাড়া থেকে ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশের সহযোগিতায় সুতন্দ্রার গাড়ির চালক রাজদেও শর্মাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় কাঁকসা পুলিশ।
ধৃতের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
সুতন্দ্রার মা তনুশ্রী চ্যাটার্জি বলেন,‘‘অনেক গুলো বিষয়ে খটকা লাগায় আমি অভিযোগ করেছি। সুতন্দ্রার গাড়িতে যারা ছিল তারা বয়ান বদল করল কেন? গাড়ি ধাওয়া করে হাইরোড থেকে সার্ভিস রোডে নামিয়ে দিলে পরে কেন সাদা গাড়িকে ধাওয়া করতে গেলো? এত গতিতে কেন গাড়ি চালালো? এয়ার ব্যাগ কেন খোলেনি? দুজন গ্রেপ্তার হয়েছে সুতন্দ্রার মৃত্যুর ঘটনায়। আরো যার ছিলো তাদের ধরে জেরা করুক পুলিশ।’’