দীপশুভ্র সান্যাল, জলপাইগুড়ি
কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের শ্রমিক কর্মচারী ও মানুষ মারা নীতির বিরোধিতা করে সমস্ত স্তরের কর্মচারীদের নিয়েই আগামী দিনে ও এগিয়ে চলবে সংগঠন। নেতৃবৃন্দকে অনৈতিক বদলি করে রোখা যাবে না এই আন্দোলন।
মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতে ‘অধিকার যাত্রা’ ঘিরে সভায় একথা বলেন রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির সম্পাদক বিশ্বজিৎ গুপ্ত চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘‘কো-অর্ডিনেশন কমিটি সমস্ত স্তরের কর্মচারীদের পাশাপাশি ঠিকা কর্মচারীদের দাবিদাওয়া নিয়ে সারা বছর আন্দোলন করে। কোনও নেতা কোন আমলার ভয়ে ভীত না হয়ে সংগঠন এগিয়ে চলছে সরকারি কর্মচারীদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে।’’
১৭ ই ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল ৯ টায় কোচবিহারের সিতাই থেকে অধিকার যাত্রা শুরু করেছে কোঅর্ডিনেশন কমিটি। ১০ মার্চ এই পদযাত্রা শেষ হবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার যাদবপুর ৮ বি বাস স্ট্যান্ডে।
কেন্দ্রীয় হারে ডি এ, সমস্ত শূন্য পদে কর্মী নিয়োগ সহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে চলছে ‘অধিকার যাত্রা’।
চতুর্থ দিন, মঙ্গলবার, সকালে মালবাজার কালিম্পং সীমানার গরুবাথানের পাহাড়ি পথ অতিক্রম করে ওদলাবাড়ির চা বাগান পেরিয়ে, ক্রান্তির গ্রামীণ কৃষি এলাকার মধ্য দিয়ে লাটাগুড়ির জঙ্গল, ময়নাগুড়ি শহর হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে পদযাত্রা ও সংক্ষিপ্ত পথসভার কর্মসূচীর মধ্য জলপাইগুড়ি জেলা শাসক দপ্তরে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। পথে চা শ্রমিক ও কৃষি এলাকার মানুষদের সাথে কথা বলে তাদের সমস্যার কথা শোনেন কর্মচারী নেতৃবৃন্দ।
জলপাইগুড়ি শহরের ‘অধিকার যাত্রা’ প্রবেশের পর বিভিন্ন মোড়ে পদযাত্রাকে সম্বর্ধিত করেন ইউনিয়ন ছাত্র যুব মহিলা শ্রমিক কর্মচারী ব্যাংক বীমা কর্মচারী সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
জেলাশাসক দপ্তরের কর্মসূচির পরে জলপাইগুড়ি শহর পরিক্রমা করে শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ‘অধিকার যাত্রা’।
Comments :0