Parliament Special Session

‘বিশেষ অধিবেশনের বিষয় সাংসদদের জানাতে বাধ্য সরকার’

জাতীয়

সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকেছে কেন্দ্রের সরকরা। কিন্তু অধিবেশনের বিষয়বস্তু জানানো হবে না কেন? বিরোধীরা আগেই সরব হয়েছেন এই প্রশ্ন তুলে। এবার একই প্রশ্ন তুললেন লোকসভার প্রাক্তন সচিব পিডিটি আচারিয়া। দেশে আচারিয়াকে মান্য করা হয় সংবিধান বিশেষজ্ঞ হিসেবে।

আইন বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘লাইভ ল’-কে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন আচারিয়া। তিনি বলেছেন, ‘‘নির্দিষ্ট বিষয় না থাকলে বিশেষ অধিবেশন ডাকা যায় না। বিশেষ অধিবেশন কেন, তার বিশেষ কারণ থাকতে হয়। সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকলে তার কারণও জানাতে হয়। অধিবেশনের বিষয়বস্তু গোপন রাখা যায় না।’’

আচরিয়ার যুক্তি, ‘‘সংসদ জনগণের। ফলে জনগণকে জানাতে হয় কেন বিশেষ অধিবেশন ডাকতে হচ্ছে।’’ 

১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকেছে কেন্দ্র। কেন অধিবেশন তা নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। কিন্তু সরকারি ভাবে বিশেষ কোনও কারণ জানানো হয়নি। একাংশের অনুমান, ‘এক দেশ এক ভোট’ চালু করার জন্য সংবিধান সংশোধনী পাশ করানোর চেষ্টা হতে পারে বিশেষ অধিবেশনে। জাতীয় স্তরে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করা হতে পারে। বিজেপি এবং আরএসএস’র এই দুই নির্বাচনী বিষয় সংসদে অনুমোদন করানোর পর লোকসভা ভোট এগিয়ে আনার দিকে যেতে পারে বিজেপি। 

আচারিয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘সাধারণ ভাবে প্রথা হলো সংসদের অধিবেশন ডাকা হলেই সে সংক্রান্ত কাগজপত্র সাংসদদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হতে থাকে। রাষ্ট্রপতি সরকারিভাবে অধিবেশনের আহ্বান জানানোর সময়ই উদ্দেশ্য ঘোষণা করেন। এবার অধিবেশন আহ্বান করলেও রাষ্ট্রপতি তার কোনও কারণের উল্লেখ করেননি।’’ 

আচারিয়ার প্রশ্ন, ‘‘এত গোপনীয়তার কী আছে! সাংসদদের জানানোই বা হবে না কেন? কোন কোন বিষয়ে আলোচনা হবে? কার্যসূচি কী হবে, এ সবই তো সাংসদদের জানানো উচিত।’’ 

এই সংবিধান বিশেষজ্ঞের ব্যাখ্যা, ‘‘এটা ঠিকই যে অধিবেশনের আগে বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনা করতে বাধ্য নয় সরকার। কিন্তু অধিবেশনে আলোচনার বিষয় সাংসদদের জানাতে বাধ্য।’’

 

Comments :0

Login to leave a comment