ইজরায়েলের হামলার জবাবে ফের এক ঝাঁক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ল ইরান। মঙ্গলবার রাতে ইজরায়েলের সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে দেশের মধ্যভাগে বারবার বাজছে বিপদসংকেত। 
এদিন রাতেও ইরানের রাজধানী তেহরানের উত্তর অংশে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাওয়া গিয়েছে। তবে ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমের দাবি, তবরিজে ইজরায়েলের ৪টি এফ-৩৫ বিমানকে গুলি করে নামানো হয়েছে। এর আগে আরও দু’টি ড্রোনকে গুলি করে নামানো হয়েছে বলে দাবি ইরানের। 
কোনও প্রমাণ ছাড়াই ইজরায়েল এবং আমেরিকা ইরানকে দায়ী করেছে গোপনে পরমাণু অস্ত্র বানানোর জন্য। অথচ এই দুই দেশের হাতেই রয়েছে পরমাণু অস্ত্র সম্ভার। ইরান এই অভিযোগ খারিজ করেছে আগেই। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা বা আইএইএ-ও জানিয়েছে যে ইরানের হাতে পরমাণু অস্ত্র থাকার কোনো প্রমাণ তাদের কাছে নেই। এমনকি আমেরিকার গোয়েন্দা বিভাগের প্রতিবেদনও জানিয়েছে যে ইরান সক্রিয়ভাবে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে না। আমেরিকার সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক সংবাদে জানিয়েছে যে এই গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুযায়ী ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে অন্তত আরও তিন বছর লাগবে।  
আবার ইরানের পালটা হানার জেরে ইজরায়েলের পর্যটন মন্ত্রককে বিশেষ ঘোষণা করতে হয়েছে। ইজরায়েলের পর্যটন মন্ত্রক জানিয়েছে পর্যটকদের নিরাপদে নিজের নিজের দেশে ফেরার বন্দোবস্ত করা হবে। 
রাত সাড়ে ৬টার কিছু পরে ইজরায়েলের সেনার দাবি, ইরান মাত্র দু’টি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে। একটিকে আকাশেই প্রতিরোধ ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। অপরটি মাটিতে আছড়ে পড়লেও জায়গাটি ফাঁকা ছিল।
ইজরায়েলের জরুরি বিভাগ জানিয়েছে সোমবার থেকে ২১ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে। আহত ৬৩১।
অন্যদিকে ইরান জানিয়েছে বিনা প্ররোচনায় ইজরায়েলের হামলায় কেবল নিহত মহিলা ও শিশুর সংখ্যাই ৪৫। 
১৩ জুন রাত থেকে ইরানের বসতি এলাকায় হামলা চালায় ইজরায়েল। গত সোমবার ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু মার্কিন সংবাদমাধ্যমে বলেছেন যে ইরানের জমানা পরিবর্তন অবশ্যই বিবেচনায় রয়েছে।