Temperature is dropping

দাপট শুরুতেই, পারদ নেমেই চলেছে

কলকাতা

আগমনীতেই ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিচ্ছে এই মরশুমের শীত। নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি হতেই ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে একটু একটু করে। সেই পারদ পতনের ধাক্কা মঙ্গলবারেও অব্যাহত রইলো। পরিস্থিতি যেদিকে এগচ্ছে তাতে আলিপুর হাওয়া অফিসের অনুমান ডিসেম্বরে বেশ জাঁকিয়ে পড়বে শীত।
শীতের চলতি ব্যাটিং বেশ পাকাপোক্ত। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে প্রতিদিনই নামছে পারদ। কলকাতায় মঙ্গলবার দিনের তাপমাত্রা আড়াই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে ২৭.৫ ডিগ্রিতে এসেছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা প্রায় দুই ডিগ্রি কমে ঠেকেছে ১৮ ডিগ্রিতে। তাপমাত্রার এই কমে যাওয়াটা যত দিন যাবে, ততই বাড়বে বলে মনে করছেন আবহবিদরা।
রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলিতে পারদ পতনটা প্রতিবারই শীত পড়ার সূচক।  শীতে শুরুতেই  পারদ দ্রুত নেমে গেছে পুরুলিয়ায়। সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে গেছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।  শ্রীনিকেতনে ১৩ ডিগ্রি। ঝাড়গ্রামে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বর্ধমানে তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  সব জেলার তাপমাত্রার গড় করলে এখন দক্ষিণবঙ্গে শীতের ঢল নেমে গেছে।
রাজ্যের উত্তরে অবশ্যে কিছুটা আগেই এসেছে শীত। আর এখন দক্ষিণবঙ্গ শীতের আবহের সেই বৃত্তকে পূর্ণ করেছে। মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গে কুয়াশার ঘনঘটা দেখা গেছে। উত্তরের তিন জেলায় ঘন কুয়াশার বেশি দাপট দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে দার্জিলিঙ, কালিম্পঙে ঠান্ডার দাপট এখন বেশ প্রবল। সকাল থেকে সারাদিন সেখানে বইতে দেখা যাচ্ছে  হিমেল হাওয়া। ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকা পড়েছে মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর। দৃশ্যমানতা কমে হতে পারে ৫০ থেকে ২০০ মিটার। আর তার জেরেই পাহাড়ি এলাকায় বিশেষ সতর্কতা জারি করল হাওয়া অফিস।
এরই মাঝে ফের  দক্ষিণ বাংলাদেশের উপর  একটি ঘূর্ণাবর্তের দেখা মিলেছে। মালদ্বীপের কাছে রয়েছে আর একটি ঘূর্ণাবর্ত। সেখানে পশ্চিমী অক্ষরেখা সক্রিয়। এইসবের জেরেই উত্তর ভারতে বইতে শুরু করেছে শীতের তীব্র হাওয়া বা ‘জেট স্ট্রিম উইন্ডস’। কলকাতা মহানগরে  এই সপ্তাহ ধরেই শীত বাড়তে থাকবে। রাতে ও ভোরে শীতের আমেজ বেশি হবে। আপাতত ৬ দিন তাপমাত্রায় বিরাট হেরফের হবে না। নতুন করে তাপমাত্রা খুব বেশি নামবে না। আকাশও থাকবে পরিষ্কার।
সকালের দিকে কোনও কোনও এলাকায় হালকা কুয়াশা থাকতে পারে। বেলা বাড়লে তা পরিষ্কার হয়ে  বেশ মনোরম পরিবেশ তৈরি করবে। সোমবার দিনের তাপমাত্রা  ২৮.৪ ডিগ্রি থেকে নেমে এদিন হয়েছে ২৭.৫ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বা আপেক্ষিক আর্দ্রতা দিনে ৮৮ শতাংশ এবং রাতে ৪৭ শতাংশ। এই তাপমাত্রা আগামী সপ্তাহে আরও কমে যাবে। এই মুহূ্র্তে রাজ্যে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তামিলনাডু, করাইকাল, কেরল, মাহে, পুদুচেরি সহ দক্ষিণ ভারতের কিছু রাজ্যে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঘন কুয়াশার দাপট দেখা দেবে হিমাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব, রাজস্থান ও বিহারে। রাতে ও ভোরের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশায় ঢাকা পড়বে আসাম, মেঘালয় সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের কিছু রাজ্য।

Comments :0

Login to leave a comment