প্রতীম দে ও অরিজিৎ মণ্ডল
ছাত্রছাত্রীদের দাবি নিয়ে এসেছিলাম কথা বলতে। ভাঙচুর করতে আসিনি। আমাদের ওপরই লাঠি চালালো পুলিশ। গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হলো প্রিজন ভ্যানে। এটাই এই রাজ্যের অবস্থা।
বিকাশ ভবনের সামনে এই ভাষাতেই ক্ষোভ জানিয়েছেন এসএফআই নেতৃবৃন্দ। ছাত্রদের আটকাতে বিশাল পুলিশবাহিনী, ব্যারিকেডের সজ্জা রেখেছিল তৃণমূল সরকারের পুলিশ। তা সত্ত্বেও বিকাশ ভবনে ঢুকে পড়েন এসএফআই কর্মীদের একাংশ।
বিকাশ ভবন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এসএফআই রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে-কে। মারধরও করা হয়েছে তাঁকে। গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে বিকেলে করুণাময়ী মোড় অবরোধ করেছেন এসএফআই কর্মীরা। এদিন বিকাশ ভবনে ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এসএফআই নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বিকল্প শিক্ষানীতির দলিল শিক্ষামন্ত্রীর হাতে তুলে দিতে চেয়েছিলাম। তিনি দেখা করলেন না। উলটে পুলিশ দিয়ে আটকে গ্রেপ্তার করালেন। এই মনোভাবের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এসএফআই নেত্রী বর্ণনা মুখার্জি ক্ষোভ জানিয়ে বলেছেন, এই পুলিশ তো চোর-ডাকাতদের গ্রেপ্তার করে না! তা’হলে রাজ্যে এত দুর্নীতি কেন। কেন এত অপরাধ, খুন। আর ছাত্ররা শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে এলে এমন আক্রমণ কেন। তিনি বলেছেন, মহিলা কর্মীদের ওপর নিপীড়ন চালিয়েছে পুরুষ পুলিশ। কোনও সভ্য দেশে এসব হয় না।
এসএফআই রাজ্য সভাপতি প্রণয় কার্য্যী, রাজ্যস্তরের নেতা শুভজিৎ সরকারদের টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় পুলিশ।
এদিন বেলা দু’টোর কিছু পরে মিছিল শুরু হয় সল্টলেক করুণাময়ী থেকে। বিকাশভবন ঘিরে রেখেছিল পুলিশ। ছাত্ররা শিক্ষা সংক্রান্ত দাবিতেই সরকারের সঙ্গে দেখা করে কথা বলতে চেয়েছিলেন। তুলে দতে চেয়েছিলেন বিকল্প শিক্ষানীতির দলিল।
পুলিশের ব্যারিকেডের সামনে স্লোগান তুলতে থাকেন ছাত্ররা। বাধা উপেক্ষা করে এগিয়ে যেতে চান। পুলিশ নেমে পড়ে আক্রমণে। লাঠি চলতে থাকে। ছাত্রদের ধরে তোলা হয় প্রিজন ভ্যানে। প্রিজন ভ্যানে একাধিকছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়েন। পুলিশ হেপাজতে সুদীপ্ত গুপ্তের মৃত্যুর ঘটনা মনে করিয়ে দেয় এসএফআই। প্রিজন ভ্যান আটকে দেন এসএফআই কর্মীরা।
বেলা সাড়ে তিনটেতেও বিকাশ ভবনের সামনে ছাত্রা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। ধিক্কার জানাচ্ছেন রাজ্যের পুলিশ এবং প্রশাসনের ভূমিকায়।
Comments :0