সতের বছরের পুরনো ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারির তদন্তে নামল ছত্তিশগড়ের পুলিশ। সোমবার রাজ্যের কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল জানিয়েছেন যে আদালতের নির্দেশেই নতুন করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
রায়পুরের ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনি মহিলা নাগরিক সহযাত্রী ব্যাঙ্কে কেলেঙ্কারির অভিযোগ সতের বছরের পুরনো। তখন রাজ্যে বিজেপি সরকার। তখন মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি নেতা রমন সিং।
সংবাদমাধ্যমে রমন সিংয়ের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছেন বাঘেল। তাঁর বক্তব্য, ব্যাঙ্কের ম্যানেজার উমেশ সিনহা নারকো পরীক্ষা হয়েছে আদালতের নির্দেশে। সিনহা বলেছেন রমন সিং এবং রাজ্য মন্ত্রীসভায় তাঁর সহকর্মীদের কয়েকজনকে টাকা দিয়েছিলেন ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজার।
বিভিন্ন অংশের বক্তব্য, দুর্নীতির বহু অভিযোগ বিজেপি’র শাসনেও উঠেছে। নানাভাবে তার অনেকগুলিই চাপা পড়ে গিয়েছে। কংগ্রেস চাইছে বিজেপি সরকারের সময়ে দুর্নীতির বিভিন্ন বৃত্তান্ত মানুষকে মনে করিয়ে দিতে। ইন্দিরা ব্যাঙ্কে নয়ছয় ঘিরে অভিযোগে জড়িত ২২ কোটি টাকা। টাকার অঙ্ক বড় না হলেও যে সব নাম জড়িয়ে সেগুলি রাজনীতিতে বড় মাত্রা দিতে পারে।
২০০৬ সালে রায়পুরের ওই ব্যাঙ্কে কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠে। বিজেপি নেতাদের ফাঁসানো চেষ্টা, এমন অভিযোগের জবাবে বাঘেলের বক্তব্য, রাজ্যে সহকারী অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতে কেলেঙ্কারির বিষয়টি পেশ করেন। আদালতই নির্দেশ দেয় তদন্ত করার। যা হচ্ছে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ীই হচ্ছে।
ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারিতে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে ছত্তিশগড় পুলিশ। পুরনো ফাইল নেড়েচেড়ে দেখা হচ্ছে। চার্জশিট পেশ করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বাঘেল বলেছেন, ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনি ব্যাঙ্কে টাকা রেখেছিলেন শ্রমক, কৃষক, ছোট ব্যবসায়ীরা। তাঁদের সঞ্চয় মার গিয়েছে। আমরা চাইব কষ্টের টাকা তাঁরা যাতে ফেরত পান।
Comments :0