ঠিক বলেনি ‘সেবি’। আদানি তদন্তে আগাগোড়া জুড়েই ছিলেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান মাধবী পুরী বুচ। আদানির বেনামি বিদেশি আর্থিক সংস্থায় যাঁর লগ্নির অভিযোগে সরগরম দেশ।
সংবাদ ওয়েবসাইট ‘স্ক্রল’-র প্রতিবেদনে এই দাবি করা হয়েছে। দেশের শেয়ার বাজারের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান ‘সেবি’-র সদস্যকে উদ্ধৃত করেই তৈরি হয়েছে প্রতিবেদন। নাম যদিও গোপন রাখা হয়েছে ওই সদস্যের।
হিন্ডেনবার্গের দ্বিতীয় রিপোর্টেই অভিযোগ তোলা হয় মাধব পুরী বুচকে নিয়ে। বলা হয়, মরিশাসের মতো করছাড়ের অবাধ ভূখণ্ডে বেনামি তহবিল চালিয়েছে আদানি। ভারতের শেয়ার বাজারে কারচুপির জন্য ব্যবহার হয়েছে সেই আর্থিক সংস্থার অর্থ। এমন সংস্থায় বিনিয়োগ ছিল মাধবী পুরী বুচের।
জবাবে বুচ এবং তাঁর স্বামী জানিয়েছিলেন যে ‘সেবি’-র সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর আর এমন কোনও সংস্থায় টাকা তাঁরা খাটাননি। সেই দাবি সত্য কিনা নিশ্চিত নয়। এর মধ্যে ‘সেবি’ বিবৃতি দিয়ে দাবি করেছিল যে বুচ সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশিত তদন্ত থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। আরও বলা হয় যে বুচের আর্থিক লেনদন সংক্রান্ত সব তথ্য সদস্য হওয়ার সময়ই জানিয়েছিলেন সেবি-কে।
কিন্তু ‘স্ক্রল’-কে দেওয়া বক্তব্যে ‘সেবি’-র ওই বোর্ড সদস্য বলেছেন যে তাঁরা জানতেনই না বুচের এই ধরনের গোলমেলে আর্থিক তহবিলে বিনিয়োগের কোনও তথ্যই বোর্ডের বাকিরা জানতেন না। আরও বড় কথা, আদৌ তিনি তদন্ত থেকে সরিয়ে নেননি। তখন সংশ্লিষ্টরা জানতেন যে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশিত তদন্তের গুরুত্বের কারণেই প্রক্রিয়ায় নজরদারি করতেন বুচ।
হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে অভিযোগ, আদানির বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগের প্রকৃত তদন্ত সেবি-র পক্ষে করা সম্ভব হয়নি। কারণ সেবি প্রধান মাধবী পুরী বুচ বিদেশে চালু থাকা আদানির গোলমেলে তহবিল থেকে আর্থিক লাভ পেয়েছিলেন। তাঁর এবং স্বামীর বিনিয়োগ ছিল এমন একাধিক সংস্থায়।
বিদেশে বেনামে চালানো সংস্থায় টাকা সরিয়ে সেই অর্থই ভারতের শেয়ার বাজারে ফিরিয়ে এনে নিজেদের শেয়ারের দাম ভাড়ানোর অভিযোগ আদানির বিরুদ্ধে। কৃত্রিম চাহিদা তৈরি করে বাড়ানো হয়েছে দাম। হিন্ডেনবার্গের প্রথম রিপোর্টে তোলা এই অভিযোগ প্রকাশের পরই হু-হু করে নেমে যায় আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থায় শেয়ারের দাম।
SEBI ADANI
সরেননি মাধবী, ‘সেবি’-র আদানি তদন্ত ঘিরে অভিযোগ ফের
×
Comments :0