গত ২৪ জানুয়ারি শাহাজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। তার বাড়ির বাইরে হাজিরা দেওয়ার নোটিশ সাঁটিয়ে দিয়ে আসা হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থার পক্ষ থেকে। ইডি সূত্রে খবর তারা শাহাজাহানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে।
রেশন দুর্নীতি কান্ডে ৫ জানুয়ারি শাহজাহানের বাড়ি যায় ইডি। সেখানে গিয়ে আক্রান্ত হন কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থার আধিকারিকরা। তারপর থেকেই ফেরার শাহজাহান। কিন্তু শাহজাহান ফেরার থাকলেও আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানাচ্ছেন তিনি। আদালত নামায় সইও করছেন। অনুগামীদের ভয়েস মেসেজ পাঠাচ্ছেন, কিন্তু পুলিশ এবং ইডির খাতায় সে ফেরার।
রেশন দুর্নীতির কালো টাকা বাইরে পাচার সহ এলাকায় জমি, পুকুর দকলের অভিযোগ আছে তৃণমূলের এই নেতার বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে বুধবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিসন বেঞ্চ সন্দেশখালির ঘটনায় সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিসন বেঞ্চ জানিয়েছে সিঙ্গের বেঞ্চ সিট গঠনের যেই রায় দিয়েছে তার ওপর তারা স্থগিতাদেশ জারি করছে।
এই মামলায় ইডির পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিল দ্রুত তদন্ত করার। রাজ্যের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয় যে রাজ্য পুলিশের হাতেই তদন্তের ভার থাকুন। দুই পক্ষের কথা শোনার পর সিঙ্গেল বেঞ্চের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে রাজ্য পুলিশ এবং সিবিআইয়ের আধিকারিকদের নিয়ে একটি সিট গঠন করা হবে যারা এই হামলার তদন্ত চালাবে। দুই পক্ষের সমান সংখ্যক সদস্য সিটে থাকবে বলে জানায় আদালত। হাইকোর্টের পক্ষ থেকে এও বলা হয় যে তাদের নজরদারিতে তদন্ত চলবে। সিঙ্গের বেঞ্চের এই রায়কে চ্যালেজ্ঞ করে ডিভিসন বেঞ্চে যায় ইডি। আগামী ৬ মার্চ এই মামলার ফের শুনানি হবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট।
কিন্তু প্রশ্ন একটা থেকেই যাচ্ছে, একমাস মামলা পিছিয়ে যাওয়ায় শেখ শাহজাহানও কি তাহলে ‘ফেরার’ থেকে যাবেন? ইডি’র ভূমিকা ঘিরেও উঠেছে প্রশ্ন। কেন্দ্রের ইডি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করতে পারে, আর স্থানীয় দুষ্কৃতী শাহজাহানকে খুঁজে পায় না কেন।
Comments :0