Convention In Mednipur

ধর্মঘটের সমর্থনে মেদিনীপুরে গণকনভেনশন

রাজ্য জেলা

শ্রমজীবী মানুষের অধিকার হরণ, শোষণ বৈষম্য সহ কালা শ্রমকোড আইন জারি করে শ্রমিকদের ক্রীতদাসে পরিণত করার প্রতিবাদে এবং কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কর্পোরেটের স্বার্থ রক্ষার দালালি রুখে দিতে ২০ মে দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটের সমর্থনে প্রকাশ্য গণকনভেনশন হলো মেদিনীপুর শহরের মহুয়াচকে। সিআইটিইউ সহ কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন এবং ফেডারেশন ও ১২ জুলাই কমিটির ডাকে এই কনভেনশন হয়। 
কনভেনশনে শ্রমিক নেতা বিজয় পাল বলেন, মোদী সরকারের গত ১১ বছরে শ্রমিক ছাঁটাই, রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প, কারখানা, ব্যাঙ্ক বিমা সহ সড়ক, রেল, বিমান বন্দর, ডক, টেলি যোগাযোগ, খনি ও খনিজ পদার্থ জলের দরে কর্পোরেটের হাতে তুলে দিয়ে, ক্ষুধা ও অপুষ্টির ভারত নির্মাণ করেছে। বেকারি, কর্মচ্যুতি সর্বকালীন রেকর্ড ছাড়িয়েছে। মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে অথচ মজুরি বাড়েনি। এর বিরুদ্ধে দেশের শ্রমজীবী মানুষের ডাকা সাধারণ ধর্মঘটের বার্তা প্রতিটি বুথে ও শ্রমিক মহল্লায় পৌঁছে দিয়ে শ্রমজীবী মানুষকে শামিল করতে হবে। তিনি বলেন, এরাজ্যে কৃষি শ্রমিক তথা জবকার্ড হোল্ডারদের কাজ না দিয়ে সেই জবকার্ড অকেজো করার বিরুদ্ধে এবং জবকার্ড রক্ষা ও ১০০ দিনের কাজ চালুর দাবিও ধর্মঘটের মূল দাবিগুলির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। 
এদিন গণকনভেনশনে কেন্দ্রীয় দাবি সহ জেলার দাবি মিলিয়ে মোট ১৭ দফা দাবির প্রস্তাব উত্থাপন করেন সিআইটিইউ জেলা সম্পাদক গোপাল প্রামাণিক। তিনি বলেন, প্রতিটি ব্লক ও পঞ্চায়েত স্তরে শ্রমজীবী মানুষকে নিয়ে কনভেনশন সহ পাড়া বৈঠক, হাট বাজার গঞ্জগুলিতে মিছিল সহ প্রচার সভা এবং জেলায় সব মিলিয়ে এক লক্ষ প্রচার পত্র বাড়ি বাড়ি এবং শিল্প কারখানায় পৌঁছে দেবেন। প্রতিটি ক্ষেত্র, অফিস দপ্তরগুলিতে স্ট্রাইক কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ৩ মে ধর্মঘটের নোটিস ধরানোর কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।
এছাড়াও ধর্মঘটের দাবিগুলির সমর্থনে কনভেনশনে বক্তব্য রাখেন এআইটিইউসি নেতা বাসুদেব ব্যানার্জি, টিইউসিসি নেতা আনোয়ার রেজা, এআইইউটিইউসি নেতা সুরঞ্জন মহাপাত্র, ১২ই জুলাই কমিটির জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক গঙ্গাধর বর্মণ প্রমুখ। কনভেনশন পরিচালনা করেন কীর্তি দে বকসি, অমিতাভ ঘোষ, রাকিবুল হোসেন, পূর্ণচন্দ্র বেরাকে নিয়ে গঠিত সভাপতিমণ্ডলী।

Comments :0

Login to leave a comment