ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে রেমাল পরিণত হয়েছে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে। এরই মধ্যে উপকূলীয় বিভিন্ন জায়গায় ঝড়ো হাওয়া ও থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। রবিবার মধ্যরাতে বাংলাদেশ ও রাজ্যের উপকূলভাগে আছড়ে পড়তে পারে। রেমালের জেরে আগামী ৩ দিন দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরেও।
মৌসম ভবনের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার বেলা ১২ টায় সাগর থেকে ১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়টি৷ বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিম এবং ক্যানিং থেকে ১৫০ দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্বে অবস্থান। ক্রমশ উত্তর দিকে অগ্রসর হওয়া রেমাল আরও তীব্র হয়ে বাংলাদেশ অতিক্রম করে রবিবার মধ্যরাতে আছড়ে পড়বে৷ সেই সময় হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার।
বন্ধ থাকবে বিমান পরিষেবাও। রেমাল আতঙ্কে রবিবার দুপুর ১২ টা থেকে সোমবার সকাল ৯টা প্রর্যন্ত কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ওই সময় কোনো বিমানই চলবে না কলকাতা নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে। শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় বাতিল বেশ কিছু লোকাল ট্রেন। রবিবার রাত ১১টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে বেশ কিছু লোকাল ট্রেন। বাতিল থকবে বারাসাত, হাসনাবাদ, ক্যানিং, বজবজ শাখার বেশ কিছু লোকাল ট্রেন। শিয়ালদা-ডায়মন্ড হারবার, লক্ষ্মীকান্তপুর-নামখানা-বারুইপুর শাখাতেও বাতিল বেশ কিছু ট্রেন। হাওড়া থেকে বাতিল ৯টি দূরপাল্লার ট্রেন। ব্যান্ডেল শাখায় বাতিল বেশ কয়েকটি লোকাল ট্রেন।
রেমালের জেরে দিঘায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি, সমুদ্রে যেতে দেওয়া হচ্ছে না পর্যটকদের। উত্তাল তাজপুর, শঙ্করপুর, মন্দারমণির সমুদ্রও। কখনও হালকা, কখনও মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছেই। সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। সোমবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে পর্যটকদের নিরাপদ স্থানে থাকার সতর্ক করা হচ্ছে।
Comments :0