কথিত আছে, রোহিত গুরুনাথ শর্মা যেদিন খেলবেন, ফিকে হয়ে যাবেন বাকিরা।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শূণ্য রানে আউট হওয়ায় সমালোচনায় বিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। আফগান ম্যাচের আগের দিন নেটে নিজেকে নিংড়ে দিয়েছিলেন। ফল পেলেন। মাত্র ৮৪ বলে ১৩১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস উপহার দিলেন তিনি। ভারত ৯০ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ শেষ করে দিল। ৩৫ ওভারেই তুলে ফেলল ২৭৩/২। এত বড় জয়ে রানরেটও বাড়িয়ে নিল টিম ইন্ডিয়া। পয়েন্ট তালিকায় এক লাফে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল রোহিতের দল।
রশিদ খানরা ভারতের উদ্দেশ্য ২৭৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁড়ে দেওয়ায়, অনেকেই ভেবেছিল, স্পিন ত্রয়ীর বিরুদ্ধে সমস্যায় পড়বে ভারত। যেহেতু আগের ম্যাচে টপ অর্ডার ব্যর্থ হয়েছিল। কিন্তু রোহিতই একাই দায়িত্ব নিয়ে নেন। শুরু থেকে আক্রমণ করে আফগান বোলারদের লাইন লেংথ নষ্ট করে দেন তিনি। পেসার-স্পিনার কাউকেই রেয়াত করেননি। নাভিন উল হক, ফারুকি, মুজিবদের তাঁর সামনে সাধারণ মানের মনে হচ্ছিল রীতিমতো।
রোহিতের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের কারণে নোঙরের ভূমিকা পালন করে গেলেন ঈশান কিষান। তিনি তাড়াহুড়ো করেননি বিশেষ। প্রথম উইকেটের জুটিতে উঠে ১৫৬ রান, মাত্র ১৮.৩ বলে। তিন রানের জন্য পঞ্চাশ করতে পারলেন না কিষান। তবে তাঁর একশো স্ট্রাইক নিয়ে খেলা ইনিংসটি স্বস্তিতে রাখল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। ঈশান ফিরলেও থামেননি রোহিত। প্রহার চালিয়ে যান তিনি। ৬৫ বলে শতরান করেন। শেষঅবধি রশিদ খানের গুগলিতে পরাস্ত হন। তৃতীয় উইকেটে ৬৮ রান যোগ করে কোহলি-শ্রেয়স জুটি দলের জয় নিশ্চিত করে। ঘরের মাঠেও নিজের ছন্দ বজায় রাখলেন কোহলি। ৫৬ বলে ৫৫ রান করে অপরাজিত থাকলেন। দক্ষতার সঙ্গে স্পিনারদের সামলালেন বিরাট। যদিও শিশির পড়ার কারণে, ছন্দ পেতে অসুবিধে হয়েছে রশিদদের। তাও রশিদ খানই পেয়েছেন দু’টি উইকট।
টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে পর্যাপ্ত রান তুলতে পারেননি আফগানিস্তান। দিল্লির ব্যাটিং উইকেট প্রথম ব্যাটিং করতে জিততে হলে, প্রয়োজন তিনশোর উপর রান করা। ম্যাচের পর সেটা মেনে নিলেন আফগান অধিনায়ক শাহিদী। তবে তাঁদের চেষ্টায় খামতি ছিল। দ্রুত তিন উইকেট হারালেও, চতুর্থ উইকেটে ১২১ রানের জুটি গড়ে দলের ভিত গড়ে দেন শাহিদী (৮০) ও আজমত (৬২)। কিন্তু তাঁরা ফেরার উপর দলকে লোয়ার মিডল অর্ডার টানতে পারেনি। বুমরাদের আঁটোসাঁটো বোলিংয়ের জন্যই। একাই চার পেলেন জসপ্রীত। হার্দিকের (২) কুলদীপ ও শার্দূলের দখলে একটি উইকেট।
Comments :0