রেল স্টেশনে ঢোকার পথে জমে ছিল জলে। এড়িয়ে চলতে গিয়ে আঁকড়ে ধরেছিলেন বিদ্যুতের খুঁটি। সঙ্গে সঙ্গেই ছিটকে পড়েন দিল্লির বাসিন্দা সাক্ষী আহুজা। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
রবিবার নয়াদিল্লি স্টেশনের সামনেই নিহত হয়েছেন পূর্ব দিল্লির প্রীত বিহারের বাসিন্দা সাক্ষী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও দুই মহিলা, ছিল দুই শিশুও। গোড়ায় তাঁরা বুঝতেই পারেননি কেন ছিটকে পড়েছেন সাক্ষী।
পুলিশ জানিয়েছে, পথচারীরাই দৌড়ে এসে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। তাঁদেরই সাহায্যে মহিলাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। লেডি হার্ডিঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। চিকিৎসকরা সাক্ষীকে মৃত ঘোষণা করেন।
শোকার্ত পরিবার তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে। সাক্ষী আহুজার বাবা লোকেশ কুমার চোপরা বলেছেন, প্রতিবার বর্ষায় বিদ্যুতের খুঁটি ছুঁয়ে প্রাণ হারান বহু মানুষ। কর্তৃপক্ষের হেলদোল থাকে না। রক্ষণাবেক্ষণ হয় না বলেই বিদ্যুতের স্তম্ভে চার্জ ছড়িয়ে পড়ে।
লোকেশ চোপরা জানিয়েছেন, রবিবার সকালের নিউ দিল্লি স্টেশনের পার্কিং লটে গাড়ি রাখছিলেন তিনি। তাঁদের যাওয়ার কথা ছিল চন্ডীগড়। এর মধ্যেই খবর পান মেয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছেন।
দিল্লির কোনও কোনও সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে খোলা তার বিদ্যুৎস্তম্ভের তলা পর্যন্ত পৌঁছে ছিল। সংশ্লিষ্ট স্তরে নজরদারি ছিল না। ওই তার ছুঁয়েই মৃত্যু হয়েছে সাক্ষী অরোরার। পুলিশ তদন্তে নেমে এফআইআর দায়ের করেছে।
কেবল দিল্লির এই একটি ঘটনাই নয়। বর্ষার সময় বিদ্যুতের খুঁটি ছুঁয়ে একাধিক মৃত্যুতে এমনই গাফিলতি নজরে আসে। খাতায় কলমে তদন্ত শুরু হলেও ব্যবস্থা নেওয়া বলতে নিচু স্তরে কোনও কর্মীকে শাস্তি দেওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। জন পরিষেবার সঙ্গে জড়িত প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রয়োজনের তুলনায় কম কর্মী দিয়ে কাজ চালানোর অভিযোগ রয়েছে সর্বত্র। পর্যাপ্ত নজরদারি না হওয়ার পিছনে কর্মীর কম সংখ্যা বারবার কারণ হিসেবে এসেছে। তবু নির্দিষ্ট সংখ্যায় নিযুক্তির কোনও পরিকল্পনা সরকারি স্তরে নেই।
Comments :0