বুধবার ইসিএল কর্তৃপক্ষের শ্রমিক ও শিল্প বিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে যৌথ শ্রমিক বিক্ষোভে উত্তাল হল ইসিএল সদর দপ্তর সাঁকতোড়িয়া। সিআইটিইউ অনুমোদিত ভারতের কোলিয়ারি মজদুর সভা ( সিএমএসআই) সহ কয়লা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন ও স্থানীয় স্তরের সমস্ত শ্রমিক সংগঠন মিলে গড়ে উঠেছে লড়াইয়ের যৌথ মঞ্চ জয়েন্ট অ্যাকাশন কমিটি ( জ্যাক)। সমস্ত শ্রমিক সংগঠনগুলির আপত্তি অগ্রাহ্য করে কর্তৃপক্ষ একতরফা ভাবে ১ এপ্রিল বহু পুরাতন শ্রীপুর এরিয়া বিলোপ করে করেসাত গ্রাম এরিয়ার সঙ্গে শ্রীপুর এরিয়াকে মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরফলে শ্রমিক হয়রানি বেড়েছে।
উৎপাদন ও উৎপাদকতা প্রাভাবিত হয়েছে। পরিকল্পিত ভাবে শ্রীপুর এরিয়ার উন্নতমানের কয়লার মজুত ভান্ডারের খনিগুলির বেসরকারিকরণ করতে চাইছে কর্তৃপক্ষ। সমস্বরে শ্রমিকরা বলেছেন, শ্রীপুর এরিয়া বিলোপ করা চলবে না। জমির বদলে চাকরি, কর্মরত শ্রমিকের মৃত্যু জনিত কারণে আশ্রিতের চাকরি সহ সমস্ত ধরণের নিয়োগের ফাইল নড়াচড়া বন্ধ করা হয়েছে। কেউ নিয়োগ পাচ্ছে না। দাবি উঠেছে, অবিলম্বে নিয়োগ দিতে হবে। কয়লা শিল্পের শ্রমিক কর্মচারিদের ১১ নম্বর বেতনবোর্ড নিয়ে কালক্ষেপ করা হচ্ছে। অবিলম্বে বেতনচুক্তি সম্পন্ন করো। স্থায়ী শ্রমিক কমছে। অন্যদিকে বাড়ছে ঠিকা শ্রমিক। তীব্র শোষণ বঞ্চনার শিকার ঠিকা শ্রমিকরা। হাইপাওয়ার কমিটি ঠিকা শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম বেতন হারের সুপারিশ করেছে।
এই সুপারিশ কোথাও লাগু করা হয়নি। হাই পাওয়ার কমিটির সুপারিশ মেনে ঠিকা শ্রমিকদের বেতন দিতে হবে। তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করে এদিন বিভিন্ন কোলিয়ারি থেকে শ্রমিকরা উপস্থিত হয়েছিলেন। বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন সিআইটিইউ নেতা সুজিত ভট্টাচার্য, জিকে শ্রীবাস্তব সহ সমস্ত শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
Comments :0