বিশ্ব উষ্ণায়ন ঠেকাতে না পারলে কেবল সিন্ধু উপত্যকাতেই বিপন্ন হবে ২২০ কোটি মানুষ। উষ্ণতা যে মাত্রায় পৌঁছাবে তাতে স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়ায় শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রিত হবে না। পার্ডু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক সমীক্ষা রিপোর্ট এই সতর্কবার্তা দিয়েছে।
এমন সতর্কবার্তা যদিও প্রথম নয়। তবে উষ্ণায়ন রোধে আন্তর্জাতিক স্তরে সমন্বয় এবং উদ্যোগ প্রয়োজনঈব মাত্রা চেয়ে অনেক দূরে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, প্রাক শিল্পায়ন স্তরের তুলনায় ১.৫ ডিগ্রির মধ্যে বিশ্বের তাপমাত্রা বেঁধে রাখার বোঝাপড়া হয়েছিল প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনে। গবেষকরা ১.৫ ডিগ্রি থেকে ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত উষ্ণতা বৃদ্ধিতে সম্ভাব্য প্রভাব বিভিন্ন অঞ্চলে বিশ্লেষণ করেছেন।
তাঁরা জানাচ্ছেন, ২ থেকে ৪ ডিগ্রি উষ্ণতা বৃদ্ধিতে জীবনযাপন বিপন্ন হবে যে যে অঞ্চলে তার মদ্যে রয়েছে দিল্লি, মুলতান, শাংহাই, কলকাতাও। পূর্ব পাকিস্তান, উত্তর ভারত, পূর্ব চীন এবং সাব সাহারান আফ্রিকায় মারাত্মক প্রভাব পড়বে।
ভারতে গত গ্রীষ্মেই উত্তর ভারত জুড়ে সানস্ট্রোকে বহু মৃত্যু নথিভুক্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা আরও বহু মৃত্যুতে কারণ চিহ্নিত হয়নি। কিন্তু আসলে ধারাবাহিক তাপপ্রবাহ জীবন বিপন্ন করেছে।
পার্ডু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানাচ্ছেন অত্যন্ত উষ্ণ এবং আর্দ্র আবহাওয়া স্থায়ী করার মতো তাপ্রবাহের হবে আরও বেশি সময় ধর। দিনে অত্যন্ত উষ্ণ সময় বাড়বে ঘন্টার হিসেবেই। শারীরবৃত্তীয় প্রভাব বিশ্লেষণ করে তাঁরা জানাচ্ছেন মানবশরীর এই মাত্রার তাপের মুখে বেঁচে থাকার সমস্যায় পড়বে।
কেবল সিন্ধু উপত্যকাতেই জনসংখ্যা ২২০ কোটি। পূর্ব চীনে ১০০ কোটি, সাব সাহারা আফ্রিকায় ৮০ কোটি। এই বিপুল জনসংখ্যা সরাসরি বিশ্ব উষ্ণায়নে বিপন্ন।
Comments :0