Hathras Stampede

হাথরস কান্ড, সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে মামলা

জাতীয়

ভোলেবাবা’র পায়ের ধুলো নিতে গিয়ে উত্তর প্রদেশের হাথরসে পদপিষ্ট হয়ে মৃত ১৩০ জন। যদিও সরকারিভাবে জানানো হয়েছে হাথরসে পদপিষ্টের ঘটনায় এখনও প্রর্যন্ত ১২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন ২৮ জন। 
জানা গেছে শুধু উত্তর প্রদেশ নয়, রাজস্থান সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকেই ভক্ত সমাগম হয়েছিল ‘ভোলেবাবা’র দরবারে। 
এই স্বঘোষিত ধর্মগুরু ‘ভোলেবাবা’কে অধিকাংশ সময়েই দেখা যায় সাদা পোশাকে। প্রায় ১৮ বছর ধরে তিনি উত্তর প্রদেশ পুলিশে কর্মরত ছিলেন। হঠাৎই গোয়েন্দা দপ্তরের চাকরি ছেড়ে ধর্মীয় গুরু হয়ে যান এবং ভক্তকূল বানিয়ে প্রবচন দিতে থাকেন। বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গেও তাঁর ঘনিষ্ঠতার খবর ছড়িয়েছে বিভিন্ন সূত্রে। ধবার সকালে থরসে পদপিষ্টের ঘটনার প্রেক্ষিতে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তবে এফআইআরে স্বঘোষিত ধর্মগুরু ভোলে বাবার নাম নেই। শুধুমাত্র অনুষ্ঠানের আয়োজকদের নাম রয়েছে এফআইআরে। ইলাহাবাদ হাই কোর্টে সেই মর্মে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। 
যে মাঠে আয়োজন করা হয়েছিল এই সৎসঙ্গের, সেখানে ঢোকা-বেরনোর রাস্তাটা ছিল যথেষ্টই ছোট এবং সঙ্কীর্ণ। কয়েক হাজার মানুষের জমায়েত হবে জেনেও পরিসর বাড়ানোর চেষ্টা হয়নি। জানা গেছে আয়োজকরা ৮০ হাজার মানুষের জমায়েতের জন্য অনুমতি চেয়েছিলন, কিন্তু ফুলরাই গ্রামে ‘সৎসঙ্গ’ বা এক ধর্মীয় প্রার্থনা সভায় যোগ দিয়েছিলেন আড়াই লক্ষের বেশি দর্শনার্থী। অনুষ্ঠান শেষ হতেই হুড়মুড়িয়ে বেরতে শুরু করেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, প্রত্যেকে মিলে একসঙ্গে বেরতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কিতে সামনের নর্দমায় পড়ে যান কয়েকজন। তারপরই হোঁচট খেয়ে পরপর পড়ে যান আরও অনেকে। পায়ের চাপে, একে অপরের উপর পড়ে যায় স্বাভাবিকভাবে দমবন্ধ হয়ে যায় এবং প্রাণ হারান শতাধিক। প্রাথমিকভাবে ২৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। প্রতি মুহূর্তে কার্যত মৃত্যু বেড়েছে। 
হাথরসের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবিও জানানো হয়েছে। বিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে এদিন এলাহাবাদ হাইকোর্টে মামলা করেছেন এক আইনজীবী।
এদিন সকালে ধর্মীগুরুর আশ্রমে পৌঁছায় পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারীকরা। সূত্রের খবর  পদপিষ্টের ঘটনার জেরে ঘোষিত ধর্মগুরু ‘ভোলেবাবা’কে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। 

Comments :0

Login to leave a comment