তামান্না খুনের বিচারের দাবিতে কৃষ্ণনগরে এসপি অফিস অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেই মিছিলে বর্বরোচিত আক্রমণ করে পুলিশ। নেতৃবৃন্দ বলছেন যে পুলিশ অস্ত্র উদ্ধার করতে পারে না যে পুলিশ নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পারে না সেই পুলিশ ছাত্র-যুবদের মেরে রক্তাক্ত করে। (দেখুন ভিডিও)
সোমবার কৃষ্ণনগরে এসপি অফিস অভিযানের ডাক দেয় এসএফআই ডিওয়াইএফআই নদীয়া জেলা কমিটি। এসপি অফিসের অনেক আগেই নেই মিছিল আটকানোর জন্য ব্যারিকেড করে পুলিশ। প্রস্তুত রাখা হয় জল কামান। যুদ্ধ ক্ষেত্রে মতো সামরিক সাজে বড় বড় ফাইবারের লাঠি দিয়ে আক্রমণ করে পুলিশ। এদিন মিছিলে উপস্থিত ছিলেন এসএফআই রাজ্য সভাপতি প্রণয় ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক ধ্রুবজ্যোতি সাহা, রাজ্য সভাপতি অয়নাংশু সরকার সহ জেলা নেতৃবৃন্দ।
ধ্রুবজ্যোতি সাহা বলেন, "যারা গ্রামে গ্রামে সন্ত্রাস তৈরি করেছে তাদের গ্রেফতার করতে পারে না অপদার্থ পুলিশ। যার ফলে তামান্নার মত ঘটনা দেখা যাচ্ছে রাজ্য জুড়ে, পুলিশ চেয়েছিল তামান্নার ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে দিতে কিন্তু তামান্নার মাঠের সাথে নিয়ে আমরা প্রথম থানায় গিয়েছিলাম আমাদের মূল দাবি ছিল সমস্ত দোষীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। চব্বিশ জনের নামে অভিযোগ করা হলেও পুলিশ সবাইকে গ্রেপ্তার করতে পারিনি। আমরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলে দিতে চাই বাকি দোষীদের গ্রেপ্তার না করলে রাজ্যের সমস্ত এসপি অফিস অভিযান করবে এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই।"
এদিন পুলিশ মারমুখী হয়ে একাধিক ছাত্রীদের মাথা ফাটিয়ে দেয়। হাত ভেঙে দেওয়া হয় বেশ কয়েকজনের। নির্মমভাবে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
কালীগঞ্জের উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার পর তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে ছোড়া বোমায় প্রাণ যায় ছোট্ট তামান্নার। জেলা প্রশাসন, রিটার্নিং অফিসারকে একাধিক বার জানানো হয়েছে বোমা মজুত করা রয়েছে। কিন্তু উদাসীন পুলিশ সেই বোমা উদ্ধার করেনি।
Comments :0