শিক্ষকদের চাপের মুখে পড়ে অবশেষে ইস্তফা দিতে বাধ্য হলেন ইসলামপুর কলেজের ভার প্রাপ্ত অধ্যক্ষ। ইসলামপুর কলেজে অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনা, কলেজে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাশাপাশি শিক্ষকদের অপমান জনক মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় শিক্ষকদের একাংশ ও কলেজের পড়ুয়ারা। তাদের দাবি, কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কলেজের গণতন্ত্র নষ্ট করার পাশাপাশি ব্যাপক অর্থের নয় ছয় করেছেন। এমনকি শিক্ষকদের 'ভিমরুলের চাক' বলে অভিহিত করেছেন কলেজের পরিচালনা সমিতির সভাপতি তথা ইসলামপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী পুত্র ইমদাদ চৌধুরী। বিষয়টি কলেজ শিক্ষকদের আত্মসম্মানে আঘাতের শামিল বলে দাবি করেন কলেজের শিক্ষক মমতা সেনগুপ্ত এবং কাঞ্চন রায়রা। তাদের বক্তব্য কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান আমাদের অপমান সূচক কথা বলেছেন । তিনি কলেজে হাজির হয়ে তার কথা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আমরা টি আই সি কে ছাড়বো না। ১১ বারের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর পুত্রের কাছে যোগ্য মর্যাদা আশা রাখি। আসলে কলেজের টিআইসি কলেজ সভাপতিকে যেভাবে বোঝান তিনি পুরো বিষয় খতিয়ে না দেখে এই ধরনের উক্তি করেন। যা কখনোই কাম্য নয়। এদিনের ঘটনায় খবর করতে হাজির হলে সাংবাদিকদের কলেজে মধ্যে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কলেজের স্টাফ কাউন্সিলের সম্পাদক অভিজিৎ দত্ত জানান, এদিন জরুরী কাজে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে আছি, কলেজে কি হয়েছে জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি। ইমদাদ চৌধুরীকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন তোলেন নি।
এই প্রসঙ্গে এসএফআই ইসলামপুর লোকাল সম্পাদক অরুনাভ ভাওয়াল বলেন, "ইসলামপুর কলেজ বর্তমান টিআইসির স্বৈরাচারী মনোভাবের ফলে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি ওই পদে থাকার জন্য কলেজের ফান্ড নয় ছয় করেছেন বলে খবর পেয়েছি। কলেজে চরম উশৃঙ্খলা পরিবেশ বিরাজ করছে। কলেজে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে অবিলম্বে মহকুমা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করছি।"
এদিকে কলেজের টিআইসি উজের আহমেদ বলেন, পারিবারিক কারণে আমি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফার আবেদন জানিয়েছি, গভর্নিং বডির চেয়ারম্যানের কাছে।
Comments :0