হাতকড়া পরিয়ে আমেরিকার বিমানবন্দরের মেঝেতে ঠুসে রাখা হয়েছিল ভারতীয় সেই ছাত্রকে। কোনও প্রতিবাদ জানায়নি নরেন্দ্র মোদী সরকার। শোরগোল ওঠায় নিউ ইয়র্কে ভারতীয় উপদূতাবাস বলল, ওই ছাত্রের আচরণেই অসঙ্গতি ছিল। তবে বিষয়টি নিয়ে কথা চলছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন যদিও কোনও রাখঢাকই করছে না। বুধবার খোদ দিল্লিতে মার্কিন দূতাবাস সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বলেছে, বৈধ পর্যটকরা সর্বদা স্বাগত আমেরিকায়। তবে অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থানের কোনও পরিবর্তন হবে না।
এই ছাত্রকে নিপীড়নের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছিল দু’দিন আগে। আমেরিকা থেকে দেশে ফিরে আসা এক ভারতীয় ভিডিও পোস্ট করেছিলেন সোশাল মিডিয়ায়। তিনিই জানান নিউ ইয়র্ক বিমানবন্দরের এই ঘটনা। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকেও পাঠিয়েছিলেন ভিডিও। ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান তিনি।
ওই ছাত্রকে উপুর করে মেঝেয় ফেলে পিঠে বুট দিয়ে চেপে রেখেছিল আমেরিকার সুরক্ষা কর্মীরা। সেই অবস্থাতেও ছাত্রকে বলতে শোনা গিয়েছিল ‘আমি পাগল নই। আমাকে পাগল প্রমাণ করার চেষ্টা হচ্ছে।’
বুধবার ভারতীয় দূতাবাস ট্রাম্প প্রশাসনের ‘পাগল’ তত্ত্বকেই সিলমোহর দিতে নেমেছে।
উপদূতাবাসের উল্লেখ করে সংবাদসংস্থা জানাচ্ছে ওই ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ‘ওই ছাত্রের আচরণ পর্যটনের পক্ষে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না।’
ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বাণিজ্য সমঝোতার জন্য দফায় দফায় কথা চালাচ্ছে ভারত। কিন্তু আমেরিকায় অবিরত ভারতীয় এবং বিশেষ করে ভারতীয় ছাত্রদের ওপর প্রশাসনিক জোরজুলুম চলছে।কোনও ঘটনাতেই মোদী সরকার কূটনৈতিক স্তরে কড়া বার্তা দেয়নি।
Newark Airport Torture
আমেরিকায় নির্যাতিত সেই ভারতীয় ছাত্রকেই দায়ী করছে ভারতীয় উপদূতাবাস!

×
Comments :0