বিপ্লবী ভগৎ সিং, শুকদেব ও রাজগুরুর আত্মবলিদান দিবসে শ্রদ্ধা জানালো এআইপিএসও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি। শনিবার কলকাতার কৃষ্ণপদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ভবনে এই সভা হয়।
কলকাতার পাশাপাশি হুগলীর রিষড়ায়, বাঁকুড়ার মাচানতলা মোড়ে, দক্ষিণ ২৪ পরগণার বারুইপুরের পদ্মপুকুরে, শিলিগুড়ি পোস্ট অফিসের সামনে, নদীয়ার রানাঘাটের পায়রাডাঙা মোড়ে এবং বীরভূমের সিউড়িতেও এআইপিএসও'র ডাকে সভা হয়।
কলকাতার সভায় গানে, কবিতায় ও আলোচনা সভার মাধ্যমে তিন বিপ্লবীর আত্মত্যাগ দিবসকে স্মরণ করা হয়। মূল বক্তা ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অশোকনাথ বসু। এছাড়াও বক্তব্য রাখেনযাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন সহ উপাচার্য সিদ্ধার্থ দত্ত, কুমার রানা, এসএফআই রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে, সৈকত গিরি প্রমুখ।
সভায় স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন কবি মন্দাক্রান্তা সেন। গান করেন অধীনদাস বাউল। বক্তব্য রাখেন শুভদীপ সরকার। সভার প্রারম্ভিক ও সমাপ্তি ভাষণ দেন সংগঠনের দুই রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অঞ্জন বেরা ও বিনায়ক ভট্টাচার্য।
সভায় বক্তারা ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে সরব হন। বর্তমানে ভগৎ সিংয়ের উত্তরাধিকার দাবি করছে আরএসএস-বিজেপি। কিন্তু আজীবন ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শের অনুসারি ছিলেন ভগৎ সিং। ফাঁসির আদেশ হওয়ার পরেও স্থিরচিত্তে জেলের ভিতরে রাজনৈতিক দর্শনের অধ্যয়ন করতে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। সেই সময়ে দেশের তরুণ রাজনৈতিক কর্মীদের জন্য কর্তব্যপ্রণালী রচনার পাশাপাশি 'কেন আমি নাস্তিক' নামে একটি পুস্তিকা রচনা করেন।
বক্তারা তুলে ধরেন, কিভাবে সেই সময়ে পাঞ্জাবের সাম্প্রদায়িক হিংসার বিরুদ্ধে সরব ছিলেন ভগৎ সিং। কিভাবে হিংসার মোকাবিলা করা উচিত, ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক কর্মীদের এই প্রশ্নে কি ভাষ্য হওয়া উচিত, তাও সবিস্তারে লিখে গিয়েছেন তিনি। এই সময়ের দাবি হল, নতুন করে ভগৎ সিংয়ের আদর্শ সমাজে ছড়িয়ে দেওয়া। উগ্র সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্পের বিরুদ্ধে তাঁর দেখানো পথে বলিষ্ঠ প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
Comments :0