ছাত্র সংসদ নির্বাচন করতে হবে রাজ্যে। ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। তৃণমূল সরকার ক্যাম্পাসে গণতন্ত্র ধ্বংস করছে রাজ্যে। দেশে এই কাজই করছে কেন্দ্রে আসীন বিজেপি সরকার। দুয়ের বিপক্ষেই চলবে লড়াই।
রবিবার এসএফআই জলপাইগুড়ি জেলা সাংগঠনিক কনভেনশনে এই আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য। কনভেনশন হয়েছে জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন তারাপাড়া এলাকায়।
সৃজন বলেছেন, ‘‘সাধারণের শিক্ষার অধিকার ধ্বংস করার জন্য জাতীয় শিক্ষানীতি চালু করেছে বিজেপি সরকার। আর রাজ্যে হুবহু সেই নীতি প্রয়োগ করে চলেছে তৃণমূল সরকার।’’
ছাত্র আন্দোলনের পরিসরে সৃজনশীলতার বিকাশে উদ্যোগী হওয়ার ওপরও জোর দিয়েছেন এসএফআই রাজ্য সম্পাদক। তিনি বলেছেন, ‘‘সকলের জন্য শিক্ষা ও শিক্ষান্তে কাজের দাবিকে সামনে রেখে সাংস্কৃতিক কর্মসূচি, বসে আঁকো নাচ গান সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে যুক্ত সুস্থ চেতনার বিকাশ ঘটাতে হবে। এক ঝাঁক নতুন ছাত্র-ছাত্রীকে জড়ো করে তাদেরকে সংগঠনের মধ্যে আনতে হবে।’’
কমরেড পারসান খেরিয়া মঞ্চ এবং কমরেড প্রসেনজিৎ ওঁরাও নগরে শতাধিক প্রতিনিধিকে নিয়ে কনভেনশন হয়। উদ্বোধন করেন সংগঠনের রাজ্য নেতা প্রণয় কার্জী। জেলা সম্পাদক অরিন্দম ঘোষ প্রতিবেদনের পেশ করেন। আলোচনা করেন ১১ জন প্রতিনিধি। জেলাজুড়ে ক্লাসরুমের অব্যবস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা ক্রমাগত হ্রাস পাওয়ার কথা স্কুল প্রতিনিধিদের আলোচনায় উঠে আসে।
কলেজ প্রতিনিধিদের আলোচনায় উঠে আসে ক্যাম্পাসের ভেতরে তৃণমুল ছাত্র পরিষদের দুর্নীতি। তৃণমূলকে সামনে রেখে এক অংশের অধ্যাপক ও অধ্যক্ষদের স্বেচ্ছাচারিতার প্রসঙ্গ। সম্মেলন মঞ্চ থেকে দাবি তোলা হয় অবিলম্বে নতুন শিক্ষানীতি বাতিল করতে হবে। জলপাইগুড়ি জেলা সহ উত্তরবঙ্গের বন্ধ ও রুগ্ন চা বাগানের চা শ্রমিক পরিবারের ছেলেমেয়েদের বিনা পয়সায় স্কুল কলেজে পড়বার বন্দোবস্ত করতে হবে।
কনভেনশনে জেলা সম্পাদকমন্ডলীতে যুক্ত করা হয় ৪ ছাত্রকে। ১৪ জন ছাত্র নতুন করে জেলা কমিটিতে যুক্ত হন।
SFI JALPAIGURI
ক্যাম্পাসে গণতন্ত্র, নয়া শিক্ষানীতি বাতিল: ছাত্র কনভেনশন জলপাইগুড়িতে
×
Comments :0