Kolkata Port Strike Campaign

মিছিল-পথসভায় কলকাতা বন্দর অচল করার ডাক

কলকাতা

মঙ্গলবার কলকাতা বন্দরে নেতাজী সুভাষ ডকে ধর্মঘটের প্রচারে ক্যালকাটা পোর্ট অ্যান্ড শোর মজদুর ইউনিয়ন।

চোখ রাঙিয়ে লাভ হবে না। বন্দর শ্রমিকরা ধর্মঘটে যোগ দিচ্ছেন তাঁদের সঙ্গত অধিকার রক্ষার জন্য। হুমকির সামনে মাথা নত করবেন না তাঁরা। 
কলকাতা বন্দরের সামনে মিছিল এবং সভা করে সোচ্চারে এই বক্তব্য জানিয়েছে ক্যালক্যাটা পোর্ট অ্যান্ড শোর মজদুর ইউনিয়ন। সংগঠনের সম্পাদক সমর মন্ডল বলেছেন, ‘‘ সাড়া মিলেছে প্রচারে। বারো ঘন্টা কাজ বাধ্যতামূলক, ইউনিয়নের অধিকার কেড়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে শ্রম কোড। কেড়ে নেওয়া হচ্ছে ধর্মঘটের অধিকার। তার বিরুদ্ধে শামিল বন্দরের শ্রমজীবী এবং কর্মীরা।’’ (দেখুন ভিডিও)
সংগঠনের নেত্রী কাবেরী দাস সিংহরায় বলেছেন, ‘‘বন্দরে ঠিকায় নিয়োগ করা হচ্ছে কর্মীদের। এই অস্থায়ী কর্মীদের সুরক্ষা নেই। বেশিরভাগ নিয়োগই হচ্ছে অস্থায়ী ভিত্তিতে। এই ধর্মঘটে তারও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই ক্মীদের ন্যূনতম বেতন ২৬ হাজার টাকা এবং সামাজিক সুরক্ষার দাবি তুলছি আমরা। বন্দরের হাসপাতালের বেসরকারি করণের নেমেছে কর্তৃপক্ষ। কোনোভাবেই হাসপাতালের বেসরকারিকরণ মেনে নেওয়া হবে না।’’
মঙ্গলবার প্রবল বর্ষণের মধ্যেই কলকাতা বন্দর এলাকায় মিছিল করেছেন শ্রমিকরা। নেতাজী সুভাষ ডকে চলেছে মিছিল। সরবে উঠেছে স্লোগান। হয়েছে গেটসভা।’’
গেটসভায় সমর মণ্ডল বলেছেন, ‘‘ধর্মঘটে যোগ দিয়েছে একাধিক সংগঠন। আর বন্দর কর্তৃপক্ষ হুমকি দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা বলছি এই ধর্মঘট কেন্দ্রের সরকারের শ্রম কোডের বিরুদ্ধে। বন্দরে যুক্ত বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার কর্তৃপক্ষকেও বুঝতে হবে শ্রমিকের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। শ্রমিকরা চুপ করে বসে থাকবেন না। হে মার্কেটের লড়াই ছিল কাজের সময় ৮ ঘন্টা করার দাবিতে। এখন তার উলটো পথে হাঁটা হচ্ছে। প্রতিবাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।’’
রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারেরও তীব্র সমালোচনা করেন মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘‘সংবাদমাধ্যমে চোখ রাখলেই রোজ খবর নারী নির্যাতনের। দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম সারা রাজ্যে। তাদের মদত দিচ্ছে প্রশাসন। শ্রমজীবী নিরাপদে কাজেকর্মে যেতে চান। বাড়ির সন্তানদের নির্বিঘ্নে স্কুল কলেজে পড়াশোনার ব্যবস্থা চান। সেটুকুও নিশ্চিত নেই এরাজ্যে। ধর্মঘটে এই দুষ্কৃতী-দুর্নীতি চক্রের বিরুদ্ধেও সরব শ্রমজীবীরা।’’
জাতীয় স্তরে ধর্মঘট ঘোষণার পর থেকে বন্দরে চলছে প্রচার। পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের জেরে পিছিয়ে যায় ধর্মঘট। সে সময় বিভাজনের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়েছেন শ্রমিকরা।

Comments :0

Login to leave a comment