KRISHNANAGAR SM SHADI

রেললাইন-চিনিকল-মৃৎশিল্প, সাংসদের ভূমিকা কী, প্রশ্ন তুলছেন সাদি

রাজ্য লোকসভা ২০২৪

কৃষ্ণনগরে প্রচার সিপিআই(এম) প্রার্থী এস এম সাদির।

অনিন্দ্য হাজরা, কৃষ্ণনগর
 

কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে বামফ্রন্ট মনোনীত সিপিআই(এম) প্রার্থী এসএম সাদি। চলছে তাঁর প্রচার। প্রশ্ন তুলছেন সাংসদ এবং এবারও তৃণমূলের প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের ভূমিকা নিয়ে। বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায় জনতার জন্য কোন ভূমিকা নিয়েছেন, তুলছেন সে প্রশ্নও। বলছেন, জনতার রুটি রুজির বিষয়ই মুখ্য। 
সাদি বলছেন, ‘‘কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে গুরুত্বপূর্ণ দাবি হচ্ছে কৃষ্ণনগর থেকে করিমপুর রেললাইন। সাংসদ এ বিষয়ে কিছু করেননি। এই রেললাইন অধরাই রয়ে গিয়েছে নদীয়াবাসীর কাছে, কৃষ্ণনগরবাসীর কাছে।’’


সাদির ক্ষোভ, তৃণমূলের লুটের বন্দোবস্তই কায়েম হয়েছে এলাকায়। তিনি বলছেন, ‘‘পাঁচ বছর সময়কালে উনি কী করলেন ভোটদাতারা বুঝতে পারছেন না। উনি ভোট লুট করিয়েছেন, পঞ্চায়েত দখল করিয়েছেন, পঞ্চায়েত সমিতি দখল করিয়েছেন, গোটা সংসদীয় এলাকায় লুটের রাজত্ব কায়েম করেছেন। এটা পরিষ্কার। কিন্তু এলাকার উন্নয়নে তাঁর কোনও ভূমিকা নেই।’’
কৃষ্ণনগর পুরনো শহর। শতকের পর শতক মৃৎশিল্পের মতো পেশায় যুক্ত বহু মানুষ। রয়েছে কাঁসাশিল্প। সমস্যা অনেক। সাংসদের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে সাদি বলছেন, ‘‘কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্প, পুরনো শহর, পুরনো পৌরসভা। এই এলাকায় তৃণমূল সাংসদের উন্নয়নমূলক কোনও ভূমিকা নগরবাসীদের চোখে পড়েনি। আমাদের মৃৎশিল্পের খ্যাতি সারা বিশ্বে। ধরমতা, মুড়োগাছা, মাটিয়ারি- সেখানে কাঁসা পিতল শিল্প ঘরে ঘরে। বহু মানুষ যুক্ত। তাঁদের সমস্যা নিয়ে সংসদে বলেছেন, আলোচনায় নিয়ে এসেছেন, এমন দেখা যায়নি।’’
তৃণমূলের মাটি মাফিয়া চক্র সক্রিয় পলাশি সুগার মিলকে কেন্দ্র করে, বলছেন সিপিআই(এম) প্রার্থী। তিনি বলছেন, ‘‘পলাশি সুগার মিল রয়েছে এই এলাকায়। ২০১১’র সালের পর থেকে এই সুগার মিলের কয়েক হাজার একর জমিকে তৃণমূলের মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম বেড়েছে। যেমন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কয়লা মাফিয়া, গরু পাচার মাফিয়া চক্র আমরা দেখতে পাচ্ছি, এখানেও তেমন মাফিয়া চক্র। পলাশি সুগার মিল কেবল শ্রমিকদের বিষয় নয়। শ্রমিকরা যেমন এই চিনিকলে যুক্ত, তেমন ওই এলাকার কৃষকরাও এই চিনিকলের সঙ্গে যুক্ত। এই চিনিকলের প্রশ্নে তাঁর কোনও ভূমিকা নেই।’’ 
তিনি বলছেন, ‘‘এরকম একাধিক বিষয় রয়েছে যেখানে সাংসদের কোনও ভূমিকা আমরা দেখতে পাইনি।’’
বিজেপি প্রার্থী করেছে অমৃতা রায়কে। তাঁর ‘রাজবাড়ির বধূ’ পরিচয়কেই সামনে রাখছে বিজেপি। সাদি বলছেন, ‘‘ভোটে যে কেউই প্রার্থী হতে পারেন। এখন রাজমাতা, যুবরাজদের কথা রাজ্যের রাজনীতিতে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু প্রার্থীর থেকে জনতা জানতে চাইবেন যে তাঁর ভূমিকা কী। মজুরি কাজ রোজগারের মতো বিষয়ে তিনি কী ভূমিকা নিয়েছেন। অতীতে জনতার রুটি রুজির প্রশ্নে ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি বিজেপি’র এই প্রার্থীকে।’’

Comments :0

Login to leave a comment