Left Front Siliguri

পথ সভায় বাধা, তীব্র প্রতিবাদ দার্জিলিঙ জেলা বামফ্রন্টের

জেলা


চালু খেলা বন্ধ করে দিয়ে শাসকদল সরকারি অনুষ্ঠান করছে খেলার মাঠে। শিলিগুড়িতে খেলার অঙ্গনকে যেভাবে দিনের পর দিন শাসকদলের রাজনীতির শিকার হতে হচ্ছে তার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানালো দার্জিলিঙ জেলা বামফ্রন্ট। একই সাথে মুখ্যমন্ত্রীর সভাকে কেন্দ্র করে জেলা বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী পথসভা করতে না দেওয়ার প্রতিবাদে সরব হলেন নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য ১২ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি সভার জন্য কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের চালু খেলা সুপার ডিভিশন ফুটবল লিগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থল কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম থেকে অনেকটা দূরে সুভাষপল্লী হাতি মোড়ে বামফ্রন্টের সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী পথসভা করতেও প্রশাসন অনুমতি দেয়নি।
সোমবার দুপুরে হিলকার্ট রোডে অনিল বিশ্বাস ভবনের অনুষ্ঠিত সাংবাদিক বৈঠকে সিপিআই(এম) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য জীবেশ সরকার ও জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক সমন পাঠক অভিযোগ করেন, প্রশাসন তৃণমূল কংগ্রেসের দলদাস হিসেবে কাজ করছে। মুখ্যমন্ত্রীর শিলিগুড়িতে সভাকে কেন্দ্র করে দুই দিন আগে থেকে অন্য কোন বিরোধীদলের কাউকে সভা করতে দেওয়া হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, সপ্তাহব্যাপী সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে বামফ্রন্টের পথসভা করতে না দিয়ে বিরোধীদলের কন্ঠ রুদ্ধ করা হচ্ছে। একদিকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ইন্ডিয়া জোট বলছেন। তারজন্য তিনি দিল্লিতে যাবেন তাও বলছেন। অন্যদিকে শিলিগুড়িতে এসে সমস্ত বিরোধী দলের সমস্ত কর্মসূচি বন্ধ করে দিচ্ছেন। এই স্বৈরাচারী মনোভাব নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি—কে শক্তিশালী করছেন। বিজেপি দলের গণতন্ত্র বিরোধীতার একটি ছোট অংশীদার হিসেবে মাননীয়া নিজের সফরকালে এই কাজগুলি করছেন। কার্শিয়াঙে পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েও তিনি গোটা কার্শিয়াঙকে স্তব্ধ করে দিয়েছেন। 
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারি সভা শিলিগুড়ি শহরের অন্য জায়গাতেও করা যেতে পারতো। বর্তমান সময়ে শিলিগুড়ি শহরের খেলাধূলার অবস্থার ক্রমাবনতি ঘটছে। এই অবস্থায় উন্নয়নের নামে গোটা শহরকেই পেছনের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। শিলিগুড়ির ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ইন্ডোর কোন খেলাধূলা নেই। স্টেডিয়ামে এখন কর্পোরেশনের বোরো অফিস চলছে। এর আগেও মুখ্যমন্ত্রীর সভা করে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের সর্বনাশ করা হয়েছে। এর বিরোধীতা করলেই শাসকদল আক্রমণ করছে। বলেন, জিনিসের দাম উর্ধমুখী। সারের দাম বাড়ছে। কাজ নেই। মানুষের জীবন জীবিকার মূল সমস্যাগুলি থেকে নজর ঘুরিয়ে দেবার জন্য মুখ্যমন্ত্রী নানা চটকদারি কথাবার্তা বলছেন। একই নীতি নিয়ে চলেছে কেন্দ্রের বিজেপি দল। তৃণমূল আর বিজেপি দুই দলই ধর্ম বর্ণ জাতপাতের জিগির তুলে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। আর দুই সরকারের ভ্রান্ত নীতির শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। দুই সরকারই দেশ ও রাজ্যকে ভয়ঙ্কর জায়গায় পৌঁছে দিতে চাইছে। কেন্দ্র ও রাজ্য দুই সরকারের এই ধরনের স্বৈরাচারী গণতন্ত্র বিরোধী আচরন ও বিরোধী কন্ঠ রুদ্ধ করার তীব্র বিরোধীতা করেন তারা। নেতৃবৃন্দ বলেন, এর প্রতিবাদে আগামী দিনে আরো শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন আরএসপি’র তাপস গোস্বামী, সিপিআই’র অনিমেষ ব্যানার্জি ও ফরওয়ার্ড ব্লকের অনিরুদ্ধ বোস।
 

Comments :0

Login to leave a comment